ভারতের বরফের রাজ্য সিকিম থেকে ৫ দিন ৬ রাতে মাত্র ৭,৫০০ টাকায় ঘুরে আসুন।

ভারতের বরফের রাজ্য সিকিম থেকে ৫ দিন ৬ রাতে মাত্র ৭,৫০০ টাকায় ঘুরে আসুন।

ভারতের বরফের রাজ্য সিকিম থেকে

ভারতের বরফের রাজ্য সিকিম থেকে ৫ দিন ৬ রাতে মাত্র ৭,৫০০ টাকায় ঘুরে আসুন। (গ্যাংটক, লাচুং, ইয়ামথাম ভ্যালি, জিরো পয়েন্ট, সাংঙ্গু লেক)

১ম দিনঃ ঢাকার কল্যানপুর থেকে রাত ৮.৩০ মিনিটে ৬৫০ টাকায় S R পরিবহনে পরের দিন ভোর ভোর চলে আসুন লালমনিরহাটের বুড়িমারি বর্ডারে।
ব্যাংকে বা অনলাইনে ৫০০ টাকা ট্রাভেল ট্যাক্স পরিশোধ করুন রওয়ানা হওয়ার পূর্বেই এবং রশিদ সঙ্গে রাখুন।

তারপর সকালের নাস্তা শেষে ৯ টায় ইমিগ্রেশনের জন্য লাইনে দাড়িয়ে যান। ১ ঘন্টার মধ্যে বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার বর্ডারের কাপঝাঁপ শেষ করে, বর্ডার থেকে সংঙ্গে থাকা টাকাগুলোকে রুপিতে কনভার্ট করে নিন।

চেংড়াবান্ধা (ভারতের বর্ডার) থেকে একটা অটো নিয়ে জন প্রতি ২০ রুপি দিয়ে চলে আসুন চেংড়াবান্ধা বাইপাসে। বাইপাস থেকে ৭০ রুপি দিয়ে সরকারি বাসে চেপে রিলাক্সে দুপুরের মধ্যে চলে আসুন শিলিগুড়ি। ১০০ টাকায় ভরপুর খাওয়া শেষে শিলিগুড়ি টু গ্যাংটক শেয়ার জিপে উঠে পরুন ২৫০ রুপির বিনিময়ে। চলতি পথে রংপো থেকে ১ কপি ২*২ ছবি, ১টা ভিসার ফটোকপি, ১ টা পাসপোর্টের ফটোকপি জমা দিয়ে ৫ মিনিটে সিকিম ঢোকার ‘ইনার পারমিশন পেপার সাথে নিয়ে নিন’। এ ব্যাপারে শেয়ার জীপ ড্রাইভার আপনাকে সাহাজ্য করবে, নো টেনশন।

সন্ধা নাগাদ আপনাকে নামিয়ে দেবে গ্যাংটকের দেওর আলি জীপ স্টান্ডে সেখান থেকে ২৫/৩০ রুপি দিয়ে শেয়ার জীপে চলে আসুন গ্যাংটকের মলরোডে। ২ পা হেটে মলরোড থেকে একটু উপরে উঠে ৪/২ জনের জন্য ১০০০ রুপি দিয়ে ভাল মানের একটা হোটেল নিয়ে নিন। রাতে মলরোডে একটা চক্কট দিয়ে ১০০ বা ১২০ রুপিতে ভুরিভোজ করে হোটেলে এসে একটা ফ্রেস ঘুম।

২য় দিনঃ সকাল সকাল সবার আগে মলরোডে গিয়ে একটা এজেন্সির সাথে কথা বলে নেন লাচুং যাওয়ার জন্য। জন প্রতি ২০০০ রুপি ২ দিন ১ রাতের প্যাকেজ। যাওয়া আসা, রাতে হোটেল, সাইট সিং, ইয়ামথাম ভ্যেলি, জিরো পয়েন্ট অনেক কিছু থাকবে এর মধ্যে।
লাচুং যাওয়ার পারমিশনের জন্য এজেন্সিকে, ১ কপি ছবি, ১ কপি ইনার পারমিশন পেপারের ফটোকপি, ১ কপি ভিসার ফটোকপি এবং পাসপোর্টের একটা ফটোকপি দিতে হবে। এজেন্সি আপনার পারমিশন সহ লাচুং যাওয়ার সকল ব্যবস্থা করে দিবে। (একই প্রসেসে সাংঙ্গু লেক যেতে পারবেন।)

এজেন্সির সাথে কথা বলা হয়ে গেলে গ্যাংটক সিটি টুর দেয়ার জন্য বেরিয়ে পরুন।

৪ জনে ১২০০/১৪০০ রুপি দিয়ে সারা দিনের জন্য একটা ট্যাক্সি ভাড়া করে নেন। ঘুরে ঘুরে দেখে নিন গ্যাংটকের নৈসর্গিক সৌন্দর্য মন্ডিত অপরুপ দৃশ্য।
সন্ধার গ্যাংটকের নৈসর্গিক সৌন্দর্য হাটাহাটি শেষে রাতে একটা ফ্রেশ ঘুম।

 

 

৩য় দিনঃ সকাল সকাল এজেন্সির নির্দেশনা মত বাঝড়া টেক্সি স্টান্ডে চলে আসুন। সকালের নাস্তা শেষে শেয়ার জীপে পাহাড়ি রাস্তা বেয়ে সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে চলে আসুন বরফে ঢাকা লাচুং। বিকালে মেঘ, পাহার আর বরফের সৌন্দর্য দেখতে দেখতে কখন আধার ঘনিয়ে আসবে টের পাবেন না। রাতে তাপমাত্রা মাইনাসে নেমে আসে তাই গরম পোশাখ নিয়ে কিপ্টামি করা যাবে না। ইচ্ছা করলে রুম গরম করার জন্য একটা রুম হিটার ভাড়া নিতে পারেন।

৪র্থ দিনঃ সকালের নাস্তা শেষে জুতা ভাড়া নিয়ে জীপে চড়ে বেড়িয়ে পরুন ইয়ামথাম ভ্যেলি ও জিরো পয়েন্টের উদ্দেশ্য। বরফের সাদার মায়ায় হারিয়ে যান! বরফে লাফালাফি ঝাঁপাঝাঁপি শেষে দুফুরে লাচুং হোটেলে ফিরে খাবার খেয়ে আবার গ্যাংটকের উদ্যেশ্যে যাত্রা করুন। সন্ধায় গ্যাংটকে ফিরে হোটেলে উঠে ফ্রেস হয়ে মল রোড কিন্বা লালবাজার থেকে কেনাকাটা সেরে নেন।

৫ম দিনঃ যে ভাবে গ্যাংটকে এসেছিলেন সেই ভাবে সকালে হোটেল থেকে চেক আউট করে শিলিগুড়ি হয়ে চেংড়াবান্ধা বর্ডার হয়ে বুড়িমারি দিয়ে ঢাকা ফিরতে হবে।

আরও মজার জন্য আপনি যদি সাংঙ্গু লেক যেতে চান তবে আগে থেকেই এজেন্সির কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে রাখবেন। এতে করে তারা ব্যাবস্থা করে রাখবে এবং ৫ম দিন সাঙ্গু লেক ভ্রমন শেষে ৬ষ্ঠ দিন বাংলাদেশে ব্যাক করবেন।

এক্ষেত্রে ১ দিনের জন্য আবার ১০০০/১৫০০ রুপির বাজেট বেড়ে যাবে।

☞ মনে রাখতে হবে-

★ ভিসা আবেদনের সময় আপনাকে যেই জিনিসটি মাথায় রাখতে হবে তা হল বাই রোড বুড়িমারি – চ্যাংড়াবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট উল্লেখ করতে হবে।

এগুলো সঙ্গে রাখতে বা নিতেই হবেঃ

১/ গরম পোশাক নিয়ে নো কিপ্টামি।
২/ সিকিমে যেতে হলে রংপো থেকে ইনার পারমিশন পেপার নিয়ে ঢোকতে হবে আবার বের হওয়ার সময়ে পারমিশন নিয়ে বের হতে হবে। নয়তো বিপদ অবসম্ভাবি!
৩/ দরদাম করলে কম দামে ভাল হোটেল পাওয়া যায়।
৪/ পর্যাপ্ত ঠান্ডার, পেট খারাপের ও প্রযোজনীয় ঔষধ সাথে রাখবেন।
৫/ খাবারের ব্যাপারে অতিরিক্ত সাবধানি হবেন, কারন গ্রুপের কারো এক জনের অসুস্থতা মানে সবার টুর বরবাদ।
_____________________________

গ্রুপে ৪/৮ জন হলে সব থেকে ভাল হয় ( জন প্রতি খরচ জানুন )

১। দিন-১ঃ ঢাকা – বুড়িমাড়ি বাস ৬৫০/-টাকা
২। ট্রাভেল ট্যাক্স ৫০০/- টাকা
৩। ইন্ডিয়ান বর্ডার খরচ ১০০/- রুপি
৪। চেংড়াবান্ধা-বাইপাস রোড(অটো) – ৩০/-
৫। বাইপাস-শিলিগুড়ি (বাই বাস) ৭০/-
৬। শিলিগুড়ি-গাংটক(দেওরআলী)(শেয়ার জিপ) ২৫০/-
৭। দেওরআলী-গাংটক মলরোড(শেয়ার টেক্সি) ৩০/-
৮। হোটেল ২৫০/- (৪ জন শেয়ার মোট ১০০০ রুপি)
৯। খাবার ২৫০/- (সকাল ৫০, দুফুর+রাত ২০০)
১০। দিন ২- গ্যাংটক সিটি টুর ৩৫০/-( ৪ জনে ১৪০০)
১১। হোটেল ২৫০/-
১২। খাবার ২৫০/-
১৩। দিন ৩ঃ সকালের নাস্তা ৫০/-
১৪। হোটেল-বাঝড়া ট্যাক্সি স্টান্ড-৩০/-
১৫। গ্যাংটক-লাচুং প্যাকেজ(শেয়ার জিপ) ২০০০/- (ইনক্লুড লাচুং যাওয়া আসা, হোটেল, সাইট সিয়িং,)
১৬। জুতা ভাড়া ৫০/-(বরফে হাটার জন্য)
১৭। দিন-৪ঃ রাতের খাবার ১০০/-
১৮। হোটেল ২৫০/-
১৯। দিন-৫ঃ হোটেল-দেওরআলী স্টান্ড- ৩০/-
২০। গাংটক (দেওরআলী)-শিলিগুড়ি (শেয়ার জিপ) ২৫০/-
২১। শিলিগুড়ি-চেংড়াবান্ধা বাইপাস(বাস) ৭০/-
২২। বাইপাস-বর্ডার ৩০/- (অটো)
২৩। বর্ডার (BSF) ১০০/-
২৪। বুড়িমারি-ঢাকা ৬৫০/-(টাকা)

মোট খরচ-

১। ১ম দিনঃ বাংলা টাকা ১১৫০+ রুপি ৯৪০*১.১৬=১৩৩৬ = ২,২৮৬/-
২। ২য় দিনঃ ৮৫০ রুপি*১.১৬= ৯৮৬/-
৩। ৩য় দিনঃ ২১৩০ রুপি*১.১৬= ২,৪৭০/-
৪। ৪র্থ দিনঃ ৩৫০ রুপি*১.১৬= ৪০৬/-
৫। ৫ম দিনঃ ৪৮০ রুপি*১.১৬=৫৬৫+ বাংলা টাকা ৬৫০=১২০৬/-
অন্যান্য ১৫০/-

মোটঃ ৭,৫০০/-

information: Md Shahidul Islam

শেয়ার করুন

2 responses to “ভারতের বরফের রাজ্য সিকিম থেকে ৫ দিন ৬ রাতে মাত্র ৭,৫০০ টাকায় ঘুরে আসুন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




©2020 SomoyerKhbor All rights reserved ®

Design BY NewsTheme