ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
ঈর্ষান্বিত হয়ে গত ৫ এপ্রিল সালথা উপজেলা অফিস ও সালথা এসিল্যান্ড অফিসে ভাংচুর ও তাণ্ডবের ঘটনায় আমাকে জড়িয়ে মামলা করা হয়েছে। ওই ঘটনার সময় আমি আমার চরভদ্রাসন উপজেলার হাজীগঞ্জের বাড়িতে অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ রাত আনুমানিক ১১টার দিকে সালথা তাণ্ডবের ঘটনাটি ফেসবুকে দেখতে পাই এবং আমি এক সাংবাদিকের প্রতিবেদনটি দেখে শেয়ার করি।
ওই প্রতিবেদনটি শেয়ার করার কারণে সালথার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা হীরামনি আমার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে তার অফিসের নৈশপ্রহরী সমির বিশ্বাসকে বাদী করে ৪৮ জন এজাহারভুক্ত ও অজ্ঞাতনামা ৩-৪ হাজার লোকের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আমাকে ৪৮নং আসামি করা হয়, যার মামলা নং ৬, তাং ০৭/০৪/২১ইং। ওই মামলার পূর্বে গত ৩ এপ্রিল আমিসহ চরভদ্রাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এমদাদুল হক ও তার পরিবার এবং সালথা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা হীরামনির পরিবারসহ মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার স্থানীয় চাইনিজ হোটেলে দাওয়াত খাই। আমার সাথে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা হীরামনির সুসম্পর্ক ছিল কিন্তু সালথার তাণ্ডবের প্রতিবেদনটি শেয়ার করার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে ওই মামলার আসামি করা হয়। চরভদ্রাসন থেকে সালথার দূরত্ব ৩টি উপজেলার পর প্রায় ৫০ কিলোমিটার।
উপরোক্ত কথাগুলো বললেন চরভদ্রাসন উপজেলার একাধিকবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন মাস্টারের ছেলে আ’লীগ নেতা ফয়সাল হাসান শাওন ।
এই মামলার বিষয়ে ফোনে মামলার বাদী নৈশপ্রহরী সমীর বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করলে জানান, আমি ফয়সাল হাসানকে চিনি না এবং মামলার বিষয়ে ফোনে কোনো কথা বলব না। যদি আপনার কিছু জানার থাকে আপনি সরাসরি সালথা এসে কথা বলুন।
ইতিপূর্বে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সালথার তাণ্ডবের বিষয়ে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান বলেছেন, কোনো নিরীহ ব্যক্তিকে হয়রানি করা হবে না। তদন্তের মাধ্যমে যারা প্রকৃত দোষী তাদেরই আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে ।
উল্লেখ্য , সম্প্রতি সালথা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা হীরামনি অন্যত্র বদলি হয়ে চলে গেছেন।