ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের পিয়াজখালী বাচারডাঙ্গী গ্রামের একটি সেফটি ট্যাংক থেকে রাবেয়া বেগম নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার দুপুরে সদরপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। তাকে হত্যার পর স্বামী সেফটি ট্যাঙ্কে লাশ ফেলে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহত রাবেয়া ওই গ্রামের নিহত রাজন বাছার বড় মেয়ে। ৯ বছর আগে পার্শ্ববর্তী শিবচর থানার বন্দরখোলা ইউনিয়নের রাজারচর গ্রামের আব্দুল মান্নান বেপারীর ছেলে হাবলু বেপারীর সাথে তার বিয়ে হয়। রাবেয়া স্বামীর সঙ্গে পিয়াজখালীতে বাবার বাড়িতে থাকতেন।
আরও পড়ুনঃ ফরিদপুরের সদরপুরে ছেলের হাতে বাবা খুন
রাবেয়ার মা হাসিনা বেগম জানান, গত শুক্রবার থেকে রাবেয়া নিখোঁজ ছিল। রাবেয়ার স্বামী হাবলু বেপারী শনিবার বিকেলে ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। রোববার দুপুরে বাড়ির গোয়ালঘরের পেছনে গিয়ে টয়লেটের সেফটি ট্যাঙ্কে রাবিয়ার দুই পা দেখতে পান তিনি। এ সময় তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
জানা যায়, প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে হাবলু বেপারীর সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে করেন রাবেয়া। হাবলু বেপারী পিয়াজখালী বাজারের একটি ফার্নিচারের দোকানে রং মিস্ত্রির কাজ করেন। আর রাবেয়া সদরপুরের নাইরাশিতে একটি এনজিওর মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। তাদের দুই মেয়ে আছে। আর রাবিয়ার আগের ঘরের এক ছেলে আছে।
সদরপুর থানার ওসি মামুন আল রশিদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিরাপত্তা ট্যাংক থেকে রাবেয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ফরিদপুর মর্গে পাঠায়। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0 Comments on “ফরিদপুরে সেফটি ট্যাঙ্ক থেকে স্ত্রীর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক”