রোজা অবস্থায় স্ত্রীকে চুম্বন করা বা আলিঙ্গন করা যায়। তবে শর্ত হলো বীর্যপাত বা সহবাসের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। হাদিসে আছে, হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রোজা রাখার পর স্ত্রীকে চুম্বন করতেন এবং স্ত্রীকে আলিঙ্গন করতেন। যৌন আকাঙ্ক্ষা নিয়ন্ত্রণে তিনি সবচেয়ে বেশি সক্ষম ছিলেন।’ (বুখারি: ১৮৪১; মুসলিম: ১১২১)
তবে বীর্যপাত বা সহবাসের আশঙ্কা থাকলে তা করা মাকরুহ। বিশেষ করে তরুণদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। হাদিসে আছে, আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা) বলেন, আমরা নবী (সা.)-এর কাছে বসে ছিলাম, তখন এক যুবক এসে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল, আমি কি রোজা অবস্থায় চুমু খেতে পারি?
নবী (সাঃ) বললেন, ‘না।’ তখন একজন বৃদ্ধ এসে একই প্রশ্ন করলেন। নবী (সাঃ) বললেন, হ্যাঁ।
আমরা তখন অবাক হয়ে একে অপরের দিকে তাকালাম। রাসুল (সাঃ) বললেন, আমি জানি তোমরা একে অপরের দিকে কেন তাকাচ্ছ। শোন, বুড়ো নিজেকে সামলে নিতে পারে।’ (মুসনাদে আহমদ: ২ / ১৮০ ও ২৫০)
আরও পড়ুনঃ সহবাস করা যাবে কি রমজান মাসে ?
স্ত্রীকে চুম্বন বা আলিঙ্গন করার কারণে যদি বীর্যপাত হয়, তাহলে দিনের বাকি সময়টা না খেয়েই কাটাতে হবে যেন রোজা থাকে। পরে সেই রোজা পালন করতে হবে। তবে কাফফারা দিতে হবে না। আর শুধুমাত্র কামরাস (বীর্যপাতের পূর্বে যে পিচ্ছিল পদার্থ বের হয়) বীর্যপাত ছাড়া বের হয়ে যায়, তাতে রোযার কোন ক্ষতি হবে না।
তবে রমজান যেহেতু খাদ্য, পানীয় এবং যৌনতা থেকে বিরত থাকার মাস, তাই এই মাসে রোজাদারকে দিনের বেলা যৌন উত্তেজক কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে হবে। (আহসানুল ফাতাওয়া, ফাতাওয়া দারুল উলুম, ইমদাদুল ফাতাওয়া, মিনহাতুল বারি: ৩৬৪ /৪)
উল্লেখ্য যে, ইসলাম স্ত্রী ছাড়া অন্য কাউকে চুম্বন বা আলিঙ্গন করার অনুমতি দেয় না। ইসলামের দৃষ্টিতে এটা জঘন্য পাপ। কিন্তু কেউ করলে তার ক্ষেত্রেও একই সমাধান প্রযোজ্য হবে।
©2020 SomoyerKhbor All rights reserved ®
Leave a Reply