চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কদমরসুলে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুনের পর বিস্ফোরণের ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ১৮ ঘণ্টা পরও কিছু কিছু কনটেইনারে এখনো আগুন জ্বলছে।
শনিবার রাতের ভয়াবহ এই আগুনের ঘটনায় রবিবার বিকালেও আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২৯ ইউনিট। এছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী।
ভয়াবহ এ ট্রাজেডিতে এখন পর্যন্ত নিহত ৪৩ জনের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৭ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। দগ্ধ-আহত অন্তত দুই শতাধিক। তাদের খোঁজে হাসপাতালের ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে ঘুরছেন স্বজনরা।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুনের পর বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন তিনি।
এ ঘটনায় শোক জানিয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দগ্ধদের চট্টগ্রাম মেডিকেল, সিএমএইচ ও ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহতদের সেনা হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হচ্ছে। আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চট্টগ্রামের জেলা সিভিল সার্জন সব চিকিৎসকের ছুটি বাতিল করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সরকারি হাসপাতালগুলোতে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে বন্দর কতৃপক্ষের তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও করা হয়েছে ৯ সদস্যের কমিটি। এছাড়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের একটি কমিটি করেছে ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তর।
২৪ একর এলাকাজুড়ে বিএম ডিপোতে প্রায় ৪ হাজার ৩০০ কনটেইনার রাখা ছিল। এর মধ্যে ৩ হাজার কনটেইনার ছিল খালি ছিল বলে ডিপোটির ম্যানেজার নাজমুল আকতার খান জানিয়েছেন।