প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে কোটা বাতিলের দাবি জানিয়েছে চাকরি প্রার্থীদের একাংশ। এমনকি আগামী ২২ এপ্রিল শুরু হতে যাওয়া এই নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধেরও দাবি জানিয়েছেন তারা।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘অধিকার বঞ্চিত বেকারসমাজ’ ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে (১-১৩তম গ্রেড) প্রবেশে সব ধরনের কোটা বাতিল করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সংবিধানেও নিয়োগে বৈষম্য করা যাবে না বলে স্পষ্ট নির্দেশনা আছে। অথচ, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে বিশেষ বিধান সংযুক্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও সংবিধানের সঙ্গে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক।
তারা আরও বলেন, প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে ৬০ শতাংশ নারী কোটা, ২০ শতাংশ শিক্ষকদের পোষ্য তথা পরিবার কোটা আর ২০ শতাংশ বিজ্ঞান কোটা রাখা হয়েছে। সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে, প্রতিবন্ধী এতিম বা অনগ্রসর শ্রেণিকে বিশেষ বিবেচনায় কোটা প্রদান করা যাবে। কিন্তু সহকারী শিক্ষক নিয়োগে সেটা মানা হয়নি। অথচ, শিক্ষকদের সন্তান ও স্ত্রীদের জন্য কোটা রাখা হয়েছে ২০ শতাংশ।
অধিকার বঞ্চিত বেকার সমাজের আহ্বায়ক তারেক রহমান বলেন, সহকারী শিক্ষক নিয়োগে এই বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলে উচ্চআদালতে রিট পিটিশন করা হয়েছে। এই কোটা কেন বাতিল করা হবে না, সে বিষয়ে উচ্চ আদালত রুল জারি করেছে৷ এর মধ্যেও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর নিয়োগের তৎপরতা চালাচ্ছে। যা আদালতের স্পষ্ট অবমাননা। কোটা বাতিল করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। ২২ এপ্রিলে যে পরীক্ষার তারিখ দেওয়া হয়েছে তা স্থগিত করতে হবে।
©2020 SomoyerKhbor All rights reserved ®
Leave a Reply