দুই জঙ্গিকে অপহরণের লড়াইয়ে নেতৃত্বদানকারী শনাক্ত, নতুন জঙ্গি দলের কেউ জড়িত না

ঢাকার আদালত চত্বর থেকে দুই জঙ্গিকে অপহরণের লড়াইয়ে নেতৃত্বদানকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তার নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, আমরা গোয়েন্দা সূত্রে এ অভিযানের কথা জানতে পেরেছি।

সোমবার রাতে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা এই পরিকল্পনার নেতা খুঁজে পেয়েছি। আমি লোকটিকে শনাক্ত করতে পেরেছি। তার আরও কয়েকজন সহযোগীর নাম পাওয়া গেছে। তবে অভিযানের স্বার্থে, তদন্তের স্বার্থে সেসব নাম বলা যাবে না।’

প্রকাশক দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে রোববার বিকেলে ঢাকার নিম্ন আদালত চত্বর থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার পর চোখে পানি ছিটিয়ে ও মারধর করে পুলিশ। রাজধানীর রায়সাহেব বাজার মোড়ে ঢাকার সিজেএম আদালতের গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আসামিরা হলেন- মাইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সমীর ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব সাজিদ। পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গি ও মোটরসাইকেল আরোহীকে ধরতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সীমান্তে জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট।

এই ডাকাতির সঙ্গে নতুন জঙ্গি সংগঠনের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতকালের জঙ্গি ডাকাতি অভিযানে নতুন জঙ্গি সংগঠনের কোনো হাত নেই। তবে আমরা আনসার আল ইসলাম, জেএমবি, নিউ জেএমবি, হরকাতুল জিহাদসহ বিভিন্ন স্তরের লোকজনের সঙ্গে নতুন জঙ্গি সংগঠনের সহযোগিতা খুঁজে পেয়েছি। কিন্তু এ ঘটনায় তাদের কোনো হাত নেই। গতকালের অভিযানে অন্তত ১০/১২ জন জড়িত। তারা সবাই আনসার আল ইসলামের সদস্য।

সিটিটিসি প্রধান বলেন, যেহেতু আমরা আমাদের গোয়েন্দাদের কাছ থেকে নিশ্চিত হয়েছি পরিকল্পনাটি কারা এবং কারা চালু ছিল। আমাদের কাজ এখন যাদের আমরা চিহ্নিত করেছি তাদের গ্রেফতার করা। তাদের আইনের আওতায় আনা।’

তাদের পরিকল্পনা বড় কি না জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘তাদের ধরা না পড়লে কিছু বলা যাবে না। কিন্তু তাদের পরিকল্পনা ছিল চারজনকে অপহরণ করার। দুটোই নিতে পারিনি। হয়তো তারা আরও লোক নেওয়ার চেষ্টা করছিল। কিন্তু যখনই চারজন নেমে আসে তখনই তাদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। হয়তো সুযোগ পেলে আরো বেশি নিতে পারতাম। তবে আমরা এখনো নিশ্চিত নই।’ সিটিটিসি প্রধান যোগ করেন, “যারা অভিযানে অংশ নিয়েছিল তাদের গ্রেপ্তার করা হলে আমরা পুরো পরিকল্পনা জানতে পারব।”

তিনি আরও বলেন, যেসব আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল তারা সবাই আনসার আল-ইসলামের সামরিক শাখা অর্থাৎ আসকারি বিভাগের সদস্য। তাদের সবাইকে ২০১৬ সালে সিটিটিসি গ্রেফতার করেছিল। তাদের গ্রেফতারের মাধ্যমে অনেক ঘটনা ও খুনের ঘটনা উন্মোচিত হয়েছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *