রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলায় বসতভিটাসহ আট শতক জমি রেজিস্ট্রি না করায় পুত্রবধূর বিরুদ্ধে শাশুড়িকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার রাবেয়া বেগম (৫৩) বালিয়াকান্দি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নির্যাতিতা উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ি গ্রামের মৃত জালাল শেখের স্ত্রী।
সোমবার এ ঘটনা ঘটে। সকালে বৃদ্ধা রাবেয়া বাড়ির উঠান ঝাড়ু দেওয়ার সময় হঠাৎ তার পুত্রবধূ ঝুমুর বেগম (৩৫) তাকে পেছন থেকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। সাথে সাথে রাবেয়া অজ্ঞান হলে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
প্রতিবেশীরা জানান, এ ঘটনার পর অভিযুক্ত পুত্রবধূ ঝুমুর শ্বশুর বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এ সময় তিনি পরিবারের বাকি সদস্যদের শাসন করে বলেন, ঘটনাটি পুলিশ বা সাংবাদিকদের কাছে জানালে ফিরে এসে তাদের জানে মেরে ফেলবেন।
ভুক্তভোগী রাবেয়া বেগম জানান, তার পুত্রবধূ ঝুমুর তিন মাস আগে পালিত একটি গরু বিক্রির এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন। সে প্রায়ই শাশুড়িকে নানাভাবে মারধর করত। এ ছাড়া তার নামে একটি বসতভিটাসহ আরও আট শতক জমি লিখে দেওয়ার জন্য নির্যাতন করেন।
এ ব্যাপারে বহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, কয়েক দফা সালিশ করেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি।
নির্যাতিতা রাবেয়ার ভাই সোবাহান মোল্লা জানান, তার শ্যালক ২১ বছর আগে মারা গেলেও তার বোন তিন সন্তান নিয়ে স্বামীর সঙ্গে থাকতেন। একমাত্র ছেলে মুরাদকে নিয়ে তার অনেক আশা ছিল। কিন্তু মুরাদের স্ত্রী ঝুমুর অত্যন্ত লোভী ও হিংস্র হওয়ায় বিয়ের দুই বছর পর থেকেই শাশুড়িকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করে।
এদিকে এ ঘটনার পর রাবেয়া বেগম থানায় অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে থানার এসআই মোশাররফ হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত ঝুমুর বেগমকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।