প্যাথলজি ল্যাবের ফ্রিজে মিষ্টির প্যাকেট পাওয়া গেছে। যেখানে রিএজেন্ট, ওষুধ, ইনজেকশন ইত্যাদি ল্যাবের ফ্রিজে রাখার কথা। কোম্পানির নথিতেও অমিল রয়েছে।
নোয়াখালী জেলার নিউ চৌধুরী প্যাথলজি ল্যাবে এমন অনিয়ম পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়াসির আরাফাত। অভিযানে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির দায়ে তিনটি ফার্মেসিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার বাংলাবাজার ও চৌরাস্তায় এসব অভিযান পরিচালনা করেন বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইয়াসির আরাফাত। অভিযানে মেডিকেল অফিসার ও উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, জাবেদ হোসেন দুটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে নিউ চৌধুরী প্যাথলজি ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেন। যার কোনো টেকনিশিয়ান বা প্যাথলজিস্ট নেই। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ত্রুটিপূর্ণ মেশিনে ইসিজি, এক্স-রে, রক্তের গ্রুপিং পরীক্ষা করছেন মালিক জাবেদ হোসেন নিজেই। রি-এজেন্টের সাথে ফ্রিজে মিষ্টির প্যাকেট পাওয়া গেছে। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির দায়ে ৩টি ফার্মেসিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: ইয়াসির আরাফাত বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ল্যাবের ফ্রিজে মিষ্টির প্যাকেট পাওয়া গেছে। ডিগ্রী না পেয়েও মালিক নিজেই সব পরীক্ষা নিচ্ছেন। তাই পুরো সিলমোহরসহ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির দায়ে তাদের জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক ও সচেতন করা হয়েছে।