স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে, তিন দিন পর কলেজছাত্রীর মৃত্যু
কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে রহস্যজনকভাবে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতিমধ্যেই এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ওই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শায়া বিশ্বাস (১৮) কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার জানিপুর ইউনিয়নের ঈশ্বরদী গ্রামের উদয় বিশ্বাসের মেয়ে। সে খোকসা সরকারি ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
আটক সৌরভ সরকার জয় টাঙ্গাইল জেলা সদরের বাসিন্দা। ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
জানা গেছে, রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাতুল আবাসিক হোটেলে আসেন সৌরভ-শায়া। পরে দুজন সেখানে অবস্থান করছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর বিছানায় হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে হোটেলের ব্যবস্থাপক রিপন জানান, রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে সৌরভ-শায়া হোটেলে যায়। এরপর থেকে তারা হোটেলে অবস্থান করছিলেন। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ওই নারী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।
নিহতের বাবা উদয় বিশ্বাস জানান, গত রোববার সকালে আমার মেয়ে কলেজে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। একই দিন বিকেলে ও সন্ধ্যায় থানায় গিয়ে অভিযোগ করার কথা ভাবছিলাম। কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোবাইলে আসে শায়ার মৃত্যুর খবর। এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত শায়া বিশ্বাস (১৮) কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার জানিপুর ইউনিয়নের ঈশ্বরদী গ্রামের উদয় বিশ্বাসের মেয়ে। সে খোকসা সরকারি ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
আটক সৌরভ সরকার জয় টাঙ্গাইল জেলা সদরের বাসিন্দা। ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
জানা গেছে, রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাতুল আবাসিক হোটেলে আসেন সৌরভ-শায়া। পরে দুজন সেখানে অবস্থান করছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর বিছানায় হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান জানান, আবাসিক হোটেলে কলেজছাত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। তার মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সৌরভ নামে এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। তবে সৌরভের দাবি, তারা স্বামী-স্ত্রী। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবারের লোকজন থানায় কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।