নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের ষষ্ঠ দিন আজ। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় শত মানুষকে কাজের সন্ধানে বের হতে দেখা গেছে। অন্যদিকে প্রধান সড়কগুলোতে পুলিশের চেকপোস্টের কারণে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজার, মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড, রাসেল স্কয়ার, কল্যাণপুর ও গাবতলীসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অলিগলিতে মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। তাদের কেউ বের হয়েছেন কর্মস্থলে যোগ দিতে, কেউ বাজার করতে ।
মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের সামনে খেটে খাওয়া অনেক মানুষকে কাজের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। তারা বলছেন, মানুষের কাছে হাত পাততে পারি না। কাজ করেই খাই। লকডাউনের জন্য কাজে যোগ দিতে পারছি না। টাকা না থাকায় বাসায় বউ ছেলে-মেয়েদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারছি না। তাই কাজের সন্ধানে এখানে এসেছি। যদি কারও প্রয়োজন হয়, তবে এখান থেকেই তারা আমাদের নিয়ে যায়।
প্রধান সড়কে উঠতেই চোখে পড়ে পুলিশের কঠোর তৎপরতা। গণভবন চেকপোস্টে দেখা যায়, ছোট-বড় প্রতিটি গাড়িকেতই চেকিংয়ের আওতায় আনা হচ্ছে। যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে যেতে দেওয়া হচ্ছে অন্যথায় মামলা করা হচ্ছে। ফলে গাড়ির দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে ওই রাস্তায়। শুধু গণভবন চেকপোস্টেই নয়, রাজধানীর রাসেল স্কয়ার, কল্যাণপুর ও গাবতলী চেকপোস্টেও একই অবস্থা দেখা গেছে।
সোমবার ( ৫ জুলাই ) চলমান কঠোর বিধিনিষেধ অমান্য করায় পঞ্চম দিনে দুই লাখ ৯৫ হাজার ৬১৫ টাকা – ৩৫০ জনকে জরিমানা করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। দেশব্যাপী ৪২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিরিচালনার মাধ্যমে এ পরিমাণ জরিমানা করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব সদরদফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান।
তিনি জানান, বিধিনিষেধের পঞ্চম দিনে বিধি-নিষেধ কার্যকর ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে সারাদেশব্যাপী মাঠে ছিল র্যাব। বিধিনিষেধ কার্যকর করতে র্যাবের নিয়মিত টহল ও চেকপোস্টের পাশাপাশি ছিল অতিরিক্ত টহল ও চেকপোস্ট।
আ ন ম ইমরান খান বলেন, গত ৪ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সারা দেশব্যাপী ২০৬টি চেকপোস্ট ও র্যাবের ১৯০টি টহল পরিচালনা করা হয়। বিনা প্রয়োজনে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে র্যাবের জনসচেতনতামূলক মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ কর্মসূচি চলমান ছিল।