নিজস্ব সংবাদদাতা:
ফরিদপুরে পদ্মা নদীতে ট্রলারযোগে সফরকালে দুর্ঘটনায় দুইজন শিক্ষক নিখোঁজ রয়েছেন। বুধবার (২৫ আগস্ট) সন্ধার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
রিপোর্ট লেখার সময় ফরিদপুরের পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলের আশেপাশে তাদের সন্ধান চালাচ্ছে।
তবে একদিকে নদীতে তিব্র স্রোত, অপরদিকে রাতের অন্ধকার ও বৈরি আবহাওয়ায় বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধার কর্মীদের।
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র কর্মকর্তা সুভাষ বাড়ৈ এই প্রতিবেদককে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে জানান, ঘটনাস্থল থেকে দুই কিলোমিটার পর্যন্ত তারা ট্রলার নিয়ে খোঁজ চালাচ্ছেন। উদ্ধারকাজ এখনো চলছে।
তিনি বলেন, রাতের আঁধার এবং বৈরি আবহাওয়ার পাশাপাশি নদীতে প্রচুর স্রোত রয়েছে। এজন্য তাদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। আসলে কি ঘটেছে তা এখনো বলা যাচ্ছে না।
পন্টুনের সাথে ধাক্কা খেয়ে ট্রলারটি পন্টুনের নিচেই ডুবে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, ফরিদপুরে তাদের কোন ডুবুরি নেই। ডুবুরি আসতে হলে পাটুরিয়া ঘাট হতে আসতে হবে। তবে সেটি আর এই রাতের বেলায় সম্ভব না। ডুবুরি এলেও বৃহস্পতিবার সকালের আগে তারা উদ্ধার কাজ চালাতে পারবেন না।
ফরিদপুরের সারদা সুন্দরী বালিকা বিদ্যালয়, ঈশান বালিকা বিদ্যালয় ও ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয় সহ জেলা সদরের পাঁচটি বিদ্যালয়ের ১৪ জন শিক্ষক খলিল মন্ডলের হাট থেকে একটি ট্রলারে যাত্রায় নেমে এ দুর্ঘটনার শিকার হন।
সারদা সুন্দরী বালিকা বিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, খলিল মন্ডলের হাট হতে ট্রলারটি সিএন্ডবি ঘাট ইয়ার্ডের নিকট পৌছে বিকেলে। এরপর সেখানে কিছু সময় কাটিয়ে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তিনি জানান, সন্ধা ৬ টার দিকে ট্রলারটি ইয়ার্ড থেকে ছাড়ার পরই সেটি তিব্র স্রোতে পাশের পন্টুনের নিচে চলে যায়। আমরা ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি। এরপর তীব্র স্রোতে ভেসে আমাদের বারজন শিক্ষক ও মাঝি মাঝ পদ্মায় চলে যাই। এরপর সাতরে আমরা তীরে আসতে পারলেও দু’জন শিক্ষক নিখোঁজ হন। ট্রলারটি পন্টুনের নিচে তলিয়ে যায়।
নিখোঁজ ওই দু’জন হলেন, সারদা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিতের সিনিয়র শিক্ষক আজমল হোসেন (৪৩) ও ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আলমগীর হোসেন (৪০)। এদের মধ্যে আজমল হোসেনের বাড়ি সদর উপজেলার খলিলপুরে তবে তিনি শহরের গোয়ালচামটে ভাড়া থাকেন। তার এক ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছে। আর আলমগীর হোসেনের বাড়ি খলিল মন্ডলের হাট এলাকায়। তিনি ঝিলটুলি পুরাতন পাসপোর্ট অফিস এলাকায় থাকেন। তার দুটি মেয়ে রয়েছে।
রেজাউল করিম জানান, বুধবার বিকেলে তারা আলমগীর হোসেনের বাড়ির সামনের ঘাট থেকেই তারা বুধবার বিকেলে ট্রলারযোগে রওনা হন।