ফরিদপুরে আবারও সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ

বাস ও মাহিন্দ্র শ্রমিকদের দ্বন্দ্বের জেরে ফরিদপুরের সব রুটে বাস চলাচল আবারও বন্ধ করে দিয়েছে পরিবহন শ্রমিকেরা। শ্রমিকদের আকস্মিক এই ধর্মঘটে ভোগান্তিতে পড়েছেন দূরপাল্লার যাত্রীরা।

এর আগে গত ৬ জুন সকাল ১০টা থেকে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল পরিবহন শ্রমিকেরা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে ছয় ঘণ্টা পর পুনরায় বাস চলাচল শুরু হয়।

জানা গেছে, গত ৬ জুন সকালে বোয়ালমারী থেকে মাঝকান্দি-বোয়ালমারী আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে একটি যাত্রীবাহী বাস (ফরিদপুর-ব-০০৫৭) মাঝকান্দি যাচ্ছিল। বাসটি কাদেরদী কলেজের সামনে আসার পর যাত্রী ওঠানো নিয়ে এক মাহিন্দ্রচালককে গালাগালি করেন চালক ও সুপারভাইজার। কিছু দূরে আরেকটি মাহিন্দ্রকে যাত্রী ওঠাতে দেখলে মাহিন্দ্রচালককে মারধর করেন ওই বাসের সুপারভাইজার। তখন ওই মাহিন্দ্রচালক দ্রুত ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মোড় মাঝকান্দিতে গিয়ে স্থানীয় লোকজন জড়ো করেন। বাসটি মাঝকান্দি এলে ওই বাসের চালক রাসেল শেখ (৩৫) ও সুপারভাইজার সোলাইমান সরদারকে (৩২) মারধর করেন তারা। এ ঘটনায় বাসের চালক ও সুপারভাইজার আহত হন। চালক রাসেলকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ খবর ফরিদপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে পরিবহন শ্রমিকরা সড়কের ওপর এলোপাতাড়ি বাস রেখে সকাল ১০টা থেকে সব পথে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন। এ সময় ঢাকাগামী একটি বাসের কাউন্টারে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছিল। শ্রমিকেরা ওই কাউন্টারে চড়াও হন এবং জোর করে কাউন্টার বন্ধ করে দেন। এ সময় সড়কে চলাচল করা ২৫-৩০টি মাহিন্দ্র শ্রমিকেরা আটক করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শ্রমিকদের আকস্মিক এই ধর্মঘটের কারণে ঢাকা, খুলনা, মাগুরা, বরিশালগামী যাত্রীসহ ফরিদপুরের অভ্যন্তরীণ সব রুটের যাত্রীরা চরম বিড়ম্বনায় পড়েন।

খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের শান্ত করার চেষ্টা করেন এবং মধুখালীর মাঝকান্দি এলাকা থেকে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ ওই মাহিন্দ্রচালককে আটক করে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top