ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসাধীন এক বৃদ্ধ রোগীকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ট্রলিতে করে ওই বৃদ্ধকে এনে হাসপাতালের সামনের সড়কে খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখা হয়। পরে স্থানীয়রা ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। পুলিশ এবং সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে পুনরায় ওই রোগীকে তড়িঘরি করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই বৃদ্ধর নাম মোশারফ হোসেন (৬০)। তার বাড়ী ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা এলাকায়।
জানা যায়, বৃদ্ধ মোশারফ হোসেন ঝিনাইদহ থেকে ফরিদপুরে দিন মুজুরের কাজে এসেছিলেন। গত ২৫দিন আগে জেলার মধুখালী উপজেলায় সড়ক দূর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন তিনি। মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হন তিনি। প্রথমে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এরপর থেকে গত ২২ দিন ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মোশারফ হোসেন। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে হাসপাতালের আয়া ট্রলিতে করে তাকে নিয়ে এসে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে ফরিদপুর-বরিশাল সড়কে ফেলে রেখে যান।
পরে স্থানীয়রা ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। পুলিশ এবং সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে পুনরায় ওই রোগীকে তড়িঘরি করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বৃদ্ধ মোশারফ হোসেন জানান, অনেক অনুনয় বিনয় করলেও হাসপাতালের লোকজন আমাকে কোন চিকিৎসা সেবা দেয় নাই। আমাকে একটি ট্যাবলেটও দেয় না। আবার সকালে রাস্তার মধ্যে ফেলে দিয়ে গেছে। তিনি আরো জানান, আমাকে এককোনে রাখা হয়, ওষুধ দেওয়া হয়না।
স্থানীয় বাসিন্দা ব্যবসায়ী আসলাম শেখ বলেন, সকালে দোকানে এসে দেখি সামনের সড়কে একজন বৃদ্ধ লোক পড়ে রয়েছে। কাছে গিয়ে দেখি কাতরাচ্ছে। পরে তার কাছে গিয়ে বিস্তারিত জানতে পারি। পরে ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তাকে উদ্ধার করে।
see more ফরিদপুরে হাসপাতালে ঢুকে রোগীর স্বামীকে কো*পালো সন্ত্রাসীরা
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার এস আই সুজন জানান, হাসপাতালের সামনের সড়কে ওই বৃদ্ধকে ফেলে রাখা হয়। স্থানীয় এলাকাবাসী ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে হাসপাতালের আয়া এসে পুনরায় তাকে নিয়ে যায়।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. সাইফুর রহমান বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবেন। যে আয়া এই ঘটনা ঘটিয়েছে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।