ফরিদপুর: ফরিদপুরে জমিজমা বিরোধের জেরে ভাবিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক দেবর। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে শহরের কমলাপুর লালের মোড় এলাকার একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে দেবর আব্দুর রব পলাতক রয়েছেন। নিহত মাজেদা পারভীন ঐ এলাকার রাজা মিয়ার স্ত্রী। তারা সম্পর্কে ভাবি-দেবর।
জানা যায়, ফরিদপুর শহরের কমলাপুর লালের মোড় এলাকায় স্ত্রী মাজেদা পারভিনকে (৪৩) নিয়ে বসবাস করতেন রাজা মিয়া।
তাদের সঙ্গেই বসবাস করতেন তার মেঝ ভাই আব্দুর রব (৭০)। আব্দুর রবের স্ত্রী ও সন্তান ঢাকায় থাকেন।
বসতবাড়ির জায়গা-জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল তাদের। কিছুদিন আগে আব্দুর রবকে জমির কিছু টাকা দেওয়ার কথা ছিল রাজা মিয়ার। পরে তিনি টাকাও পরিশোধ করে দেন। মঙ্গলবার বিকেলে রাজা মিয়ার স্ত্রী মাজেদা পারভিনের কাছে আবারও টাকা চাইতে যান আব্দুর রব। এ সময় মাজেদা পারভিন বলেন, টাকা পরিশোধ হয়ে গেছে। একথা শুনেই আব্দুর রব ক্ষিপ্ত হয়ে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ভাবিকে।
আরও পড়ুনঃ ফরিদপুরের গ্রামের স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেন বাকৃবি’র সাবেক ভিসি
দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন আব্দুর রব।
নিহতের ছেলে রুহুল আমিন বলেন, আমার চাচা আব্দুর রব আমাদের সঙ্গে থাকতেন। তিনি তার জমিজমা সব বিক্রি করে দিয়েছেন অনেক আগেই। বাড়ির কেয়ারটেকার হিসেবে তিনি থাকতেন। তার স্ত্রী ও সন্তান ঢাকায় থাকেন।
তিনি আরও বলেন, তার সব কিছু যখন শেষ হয়ে গেছে, তখন আমার আব্বা তাকে দুই শতাংশ জমি দিয়েছিল। পরে আমার চাচা আমাদের কাছে ওই জমি বিক্রি করে দেয়। কিছুদিন আগে টাকাও পরিশোধ করে দেই আমরা। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেলে আমার মায়ের কাছে টাকা চাইতে গেলে মা অস্বীকার জানায়। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে আমার চাচা মায়ের মাথায় চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ জলিল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই ঘাতক আব্দুর রব পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।