somoyerkhbor.com

ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে ঝরল ১৪ প্রাণ

আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরের শহরতলীর কানাইপুরের দিগনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনজন ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং অপর একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রামানন্দ পালকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

নিহতদের মধ্যে বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের সত্তরকান্দা গ্রামের একই পরিবারের চারজন রয়েছেন। তাঁরা হলেন—রাকিবুল ইসলাম মিলন (৩৮), তাঁর স্ত্রী সুমি বেগম (৩৫) ও দুই শিশু ছেলে রুহান (৮) ও আবু সিনান (৩)।

নিহত অপর ব্যক্তিরা হলেন—একই গ্রামের মর্জিনা বেগম (৭০) ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার চরবকাইল গ্রামের তবিবুর খান (৫৫), বেজিডাঙ্গা গ্রামের জাহানারা বেগম (৫৬), সোনিয়া বেগম (৫৮), নুরারী (২), পিকআপচালক কুসুমদি গ্রামের নজরুল ইসলাম (৩৫), হিদাডাঙ্গা গ্রামের শুকুরুন নেছা (৮৫), কহিনুর বেগম (৭০) ও সূর্য বেগম (৫৫)।

এ ছাড়া ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহত রাকিবুল ইসলামের বৃদ্ধা মা হুরি বেগম (৬০) ও মরিয়ম বেগম নামে আরও একজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অপরদিকে মুমূর্ষু অবস্থায় বোয়ালমারী উপজেলায় রুপাপাত গ্রামের ইকবাল শেখ নামের এক ব্যক্তিকে ঢামেকে পাঠানো হলে পথে তিনিও মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ছানোয়ার মোল্যা।

এর মধ্যে রাকিবুল ইসলাম মিলন ঢাকায় একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তার মাধ্যমে অন্যরা ত্রাণ নেওয়ার জন্য আসেন এবং তিনি ওই পিকআপে পরিবার নিয়ে ঢাকায় রওনা দিয়েছিলেন।

নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ত্রাণের ঢেউটিন ও নগদ অর্থ নেওয়ার জন্য তাঁরা ফরিদপুরে আসছিলেন।

এ বিষয়ে জেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা আবু নাছের মোহাম্মদ বাবর বলেন, ‘তারা ত্রাণ নিতে আসছিলেন বলে জেনেছি। আমরা প্রতি বছরই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ দিয়ে থাকি। যখন যারা আসে তখনই দেওয়া হয়। এ জন্য নির্দিষ্ট কোনো তারিখ দেওয়া হয় না।’

আরো পড়ুন: ফরিদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪, শূন্য পদ ১২৯

করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পিকআপ এবং বাসটি জব্দ করা হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় ঢাকায় নেওয়ার পথে আরও একজন মারা গেছে। তবে এখনো তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’

এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।

জেলা প্রশাসক বলেন, এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবেন। নিহতদের নগদ ২০ হাজার ও আহতদের ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। নিহতদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৫ লাখ এবং আহতদের ৩ লাখ টাকা দেওয়া হবে

Exit mobile version