ফরিদপুরে শোভা ছড়াচ্ছে পদ্মবিল, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বরুণার জন্য নিয়ে এসেছিলেন ১০৮ টি নীল পদ্ম কিন্তু এখন যদি কোনো প্রেমিক তার বরুণার জন্য ১০৮ টি লাল-গোলাপী পদ্ম নিয়ে যেতে চায় তবে সে ফরিদপুরের কানাইপুর ইউনিয়নের চাপাইবিলে যেতে পারে।
জলজ ফুলের রাণী নামে পরিচিত পদ্ম ফুল। বর্ষার মৌসুম শেষে বর্ষার সৌন্দর্যকে আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে প্রকৃতি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পদ্ম ফুলে রাঙিয়ে তোলে। তেমনি ফরিদপুরে বেশ কয়েকটি পদ্ম বিল রয়েছে, তার মধ্যে একটি হচ্ছে ফরিদপুরের চাপাইবিল। প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এ বিল প্রায় কয়েক বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। ফরিদপুর জেলা শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই বিলটিকে দেখতে ও এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিনিয়ত দর্শনার্থীরা আসছেন। শহর থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় প্রতিদিনই দর্শনার্থীদের চাপ বাড়ছে।
ভ্রমণপিপাসুরা প্রতিদিন তাদের পরিবার-পরিজন ও বন্ধু-বান্ধব নিয়ে এই বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসছেন। আশেপাশে অনেক নৌকা থাকায় তারা নৌকায় ঘুরে বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করেন।
এলাকাবাসী থেকে জানা যায়, সাধারণত ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে এই বিলে পদ্ম ফুটতে শুরু করে। স্থানীয়দের বাইরে আগে এই জায়গাটির কথা খুব বেশি মানুষ জানত না। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে কিছুদিন ধরে জায়গাটি খুব পরিচিত হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুনঃ ভারতের বরফের রাজ্য সিকিম থেকে ৫ দিন ৬ রাতে মাত্র ৭,৫০০ টাকায় ঘুরে আসুন।
এছাড়াও যাওয়া আসার সময় রাস্তার দু’ধারে দেখা মিলবে অসংখ্য পাঠকাঠি যা পিড়ামিডের মতো করে রোদ্রে শুকাতে দেয়া হয়েছে। যা এর আশেপাশের সৌন্দর্যকে আরও বৃদ্ধি করেছে। এমন দৃশ্য বিল অঞ্চল ছাড়া সাধারণত দেখা যায় না।
পদ্ম ফুটার সুবাদে এ অঞ্চলের মাঝিদের আরেকটি আয়ের নতুন উৎস সৃষ্টি হয়েছে। ভ্রমণপিপাসুরা এসে নৌকা ভাড়া করে একদম বিলের মাঝখানে চলে যাচ্ছে ফুলের কাছাকাছি। এতে মাঝিরা চুক্তিভিত্তিক আয় করছে। এছাড়াও এই পদ্মফুল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজার কাজে ব্যবহৃত হয় বলে অনেকে এই ফুল আশেপাশের বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করছে।