ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার পশ্চিম খাবাসপুরে একটি বেসরকারি ক্লিনিক, আরামবাগ হাসপাতালে প্রসুতির সিজার করতে গিয়ে নবজাতকের হাত ভেঙ্গে ফেললেন চিকিৎসক।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর ২০২১) সদর উপজেলার পশ্চিম খাবাসপুর আরামবাগ হাসাপাতালে প্রসূতিকে সিজারের জন্য ভর্তি করা হয়। ভর্তির পরপরই বাচ্চা ডেলিভারির জন্য অপারেশন থিয়েটারে সিজার (অপারেশন) করা হয়, কিন্তু অপারেশন চলাকালীন সময়ে ডাক্তারদের অবহেলা বা গুরুত্বতা না থাকায় নব জন্ম নেয়া শিশু বাচ্চার হাত অতিরিক্ত টান দিয়ে হাতের কনুই থেকে হাড্ডির (হাড়) জয়েন্ট ছুটিয়ে ফেলে। হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন কিছু না জানানোর কারণে ভুক্তভোগীরা কিছু জানতে না পারায় স্বাভাবিক ভাবে ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করে। পরের দিন বাচ্চার ব্যাথা অনুভব হওয়ায় পুনরায় শিশু বিশেষজ্ঞ খঃ ডাঃ মোঃ আব্দুল্লা হিস সায়াদ সাহেব’কে দেখানো হয়, তিনি দ্রুত এক্স রে করতে দেন এবং এক্স রে দেখে তিনি ল্যাব এইড হাসপাতালের ডাঃ সৈয়দ আসিফ উল আলম সাহেবকে রিফার্ড করেন। অতপর ডাঃ সৈয়দ আসিফ উল আলম সাহেব ঢাকা হেলথ এন্ড হোপ হাসপাতাল অধ্যাপক ডাঃ সারোয়ার ইবনে সালাম সাহেবের নিকট পুনরায় রিফার্ড করেন। বর্তমানে সেখানেই সেই বাচ্চার চিকিৎসা চলছে।
বর্তমানে চিকিৎসাধীন ডাঃ এর থেকে জানতে পারা যায় যে, সিজারের সময় ডাক্তারদের অবহেলার কারণেই বাচ্চার হাতের কনুই আলাদা হয়ে যায়। পরবর্তীতে পুনরায় আরামবাগ হাসপাতালে যোগাযোগ করলে ডাঃ শারমিন সুলতানা জুই সহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নবজাতকের অবিভাবকের অসম্মান জনক ব্যবহারের মাধ্যমে হুমকি প্রদান করে এবং জানায় কোন প্রকার দায় নিতে পারবে না । বাচ্চার শারীরিক নির্যাতন, আর্থিক ও মানিষক নির্যাতন এর জন্য উল্লেখিত হাসপাতাল ও ডাক্তারের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেছেন অবিভাবকরা। উল্লেখ থাকে যে, পূর্বেও একই জেলায় অন্য একটি বাচ্চা ডেলিবারির সময় এই রকমই ঘটনা ঘটেছে বলে পরে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী।
উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার সঠিক বিচারের জন্য ফরিদপুর জেলা প্রসাশক ও সিভিল সার্জন বরাবর অভিযোগ করেন।
Pingback: ফরিদপুুরে ৫ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকের কর্যক্রম বন্ধ ঘোষণা