মোঃ সৈকত হাসান, ফরিদপুর।
অবশেষে এলো সেই শুভক্ষণ। বহুল কাঙ্ক্ষিত বাঙালির স্বপ্নের পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন করলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২৫ জুন ২০২২) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের সড়কপথের শুভ উদ্বোধন করেন। ১১টা ৪০ মিনিটে টোলপ্লাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন প্রধানমন্ত্রী। মাওয়া প্রান্তে টোল দিয়ে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচন করে মোনাজাতে অংশ নেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় তেজগাঁওয়ের পুরোনো বিমানবন্দর থেকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের উদ্দেশ্যে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পদস্থ কর্মকর্তারা তার সঙ্গে ছিলেন। সকাল ১০টায় সভা মঞ্চে পৌঁছান তিনি।
কার্যসূচি অনুযায়ী, মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম। অংশ নিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, দেশের রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা।
স্বপ্নের পদ্মা সেতুর শুভ উদ্ভোধন উপলক্ষ্যে দিনটিকে স্বরনীয় করে রাখতে ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সর্বস্তরের জনগনের অংশগ্রহনে বের হয় বর্ণীল শোভাযাত্রা। জাতীয় পতাকা রং বেরংয়ের বেনার ফেস্টুন হাতে পদক্ষিন করা হয় শহর। সকাল ৯ টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় হতে র্যালী বের হয়ে শহরের মুজিব সরক প্রদক্ষিন করে শেখ জামাল ষ্টেডিয়াম গিয়ে শেষ হয়। কানাই কানাই পূর্ন হয়ে যায় শেখ জামাল ষ্টেডিয়াম। এরপর পদ্মা সেতু উদ্ভোধন অনুষ্ঠান উপভোগ করেন সর্বস্তরের জনগন।
পদ্মা সেতুর উদ্ভোদনকে স্মরণীয় করে রাখতে আয়োজন ছিলো ফরিদপুর হাইওয়ে পুলিশেরও। জেলা সদরের করিমপুর হাইওয়ে থানার আয়োজনে থানা চ্বত্তরে বেলা ১১ ঘটিকায় কেক কাটার আয়োজন করা হয়। আয়োজনে অংশ নেন হাইওয়ে স্ংশ্লিষ্ট কমিউনিটি পুলিশের সভাপতা মাছুদ মাতুব্বর, সম্পাদক আব্দুর রহিম, জেলা বাস মালিক শ্রমিকের পক্ষে শরিফুল ইসলাম, বিশিষ্ট চাউল ব্যবসায়ী অজয় কুমার পোদ্দার সহহ বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষ। কেক কাটার পর সবাইকে নিয়ে আনন্দ র্যলী বের হয়। র্যালীটি থানা হতে শুরু হয়ে কানাইপুর বাজার প্রদক্ষিণ করে আবার থানায় ফিরে আসেন।পরে সবাইকে মিষ্টি বিতরনের মাধ্যমে আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে।
কংকন কুমার বিশ্বাস বলেন
করিমপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনর্চাজ কংকন কুমার বিশ্বাস বলেন, মল্লিক ফখরুল ইসলাম পিপিএম বিপিএম বার, অতিরিক্ত ডিআইজি হাইওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার ঢাকা এবং হামেদুল আলম পুালশ সুপার মাদারীপুর রেন্জ (স্বদ্য পদোন্নতি অতিরিক্ত ডিআইজি স্যারের দিকনির্দেশে আমাদের এই আয়োজন। তিনি আরো বলেন, পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে খুব কম সময়েই ফরিদপুরবাসী ঢাকায় পৌঁছাতে পারবে। বর্তমানে ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গা পৌঁছাতে ঘণ্টাখানেক, ভাঙ্গা থেকে কাঁঠালবাড়ি পৌঁছাতে আরও প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগে। ফরিদপুর থেকে এখন দুই ঘণ্টার মধ্যে ঢাকায় পৌঁছানো যাবে। এতে প্রায় তিন ঘণ্টার বেশি সময় বাঁচবে। প্রধানমন্ত্রীকে ধণ্যবাদ দিয়ে ও বঙ্গবন্ধুর জান্নাত কামনা করে তিনি অনুষ্ঠান শেষ করেন।