ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পয়েন্টে নিরাপত্তা জোরদার করতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে!

ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পয়েন্টে নিরাপত্তা জোরদার করতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে!

ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পয়েন্টে নিরাপত্তা জোরদার করতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট ভাঙ্গা রাস্তার মোড় গোল চত্বরে অত্যাধুনিক ও বিশেষায়িত সিসি ক্যামেরা স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আলিমুজ্জামান,বিপিএম(সেবা)।
ফরিদপুর পুলিশ প্রশাসন জেলা শহরকে অপরাধমুক্ত রাখতে শহড় ও উপজেলার মধ্যে প্রযুক্তির নজরদারী সিসি (ক্লোজ সাকির্ট) ক্যামেরার আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আলিমুজ্জামান,বিপিএম(সেবা) জানান, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার দীপ্ত অঙ্গীকার করেছেন। তারই আলোকে জঙ্গী, সন্ত্রাসী হামলা, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও হত্যার মতো অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং যানবাহন চলাচলের ত্রুটি ধরতে এই সি সি ক্যামেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজনকে উদ্ধুদ্ধকরণের মাধ্যমে একটি তহবিল গঠনের চেষ্টা করছি। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে, সেই তহবিল থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যায় করে ফরিদপুর জেলা শহরে অবস্থিত সকল সরকারী বেসরকারী স্থাপনা, প্রধান প্রধান সড়ক, গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও ধর্মীয় উপাসনাগুলোকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা। জেলা শহরকে নিরাপদ করার জন্য এবং উন্নত দেশের আদলে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু করতে পুরো শহরকেই ক্লোজ সাকির্ট ক্যামেরার আওতায় আনতে হবে। জেলা শহর জুড়ে যতবেশী সম্ভব সুপরিকল্পিত ও সঠিকভাবে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে, ততবেশী এই শহর নিরাপদ হবে। এরপর ডিজিটাল মনিটরেজ এর মাধ্যমে সেটি পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে তা মনিটর করা হবে।

প্রতিদিনই ফরিদপুর জেলা শহরে লোক সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন নতুন বাসা-বাড়ী, অফিস আদালত, শপিং মল রেস্টুরেন্টের পাশাপাশি অনেক এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে বস্তি গড়ে উঠছে। জেলা শহরের অলি-গলি পাড়া মহল্লায় কোথাও কিছু ঘটলে তা বের করতে পুলিশকে বেশ বেগ পেতে হয়। তাই পর্যায়ক্রমে প্রতিটি এলাকা সব সময়ের জন্য প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হবে। এতে একদিকে সাধারণ মানুষ স্বস্থি ও নিরাপদে থাকবে অপরদিকে অপরাধীরা সর্বদা আতঙ্কে ভূগবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




©2020 SomoyerKhbor All rights reserved ®

Design BY NewsTheme