বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ফরিদপুর জেলা সদরে দুইটি প্রায়ভেট ক্লিনিক ও তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
ফরিদপুর সিভিল সার্জন ডাঃ ছিদ্দিকুর রহমান আজ সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিজান পরিচালনা করেন।
কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা দুইটি প্রায়ভেট ক্লিনিক হলো, জেলা সদরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড় সংলগ্ন আস্থা-আইরিশ মৈত্রী প্রায়ভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক এবং আরামবাগ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল। আর তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার হলো, আল-বাকারা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মাতৃছায়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং আল-আকসা ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
এ বিষয়ে ফরিদপুর সিভিল সার্জন ডাঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিজানের সময় দেখা যায় আস্থা-আইরিশ মৈত্রী প্রায়ভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকের কোন অনুমতি নেই। অনুমতি ছাড়াই তারা ওটিতে বিভিন্ন অপারেশনের কাজ করে যাচ্ছিলো। এবং আরামবাগ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, কোন ডাক্তার নেই। ওটিতে পরিবেশ নোংরা। যে পর্দাগুলো টানানো ছিলো ওগুলো সহ ওটিতে রাখা কাপড়গুলোও ছিলো নোংরা। ওই কাপড়গুলো আমি নিজে দাড়িয়ে থেকে ফেলে দিয়েছি।
আরও পড়ুনঃ ফরিদপুরে সিজারের সময় নবজাতকের হাত ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ
সিভিল সার্জন এ বিষয়ে আরও বলেন, আল-বাকারা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও আল-আকসা ডায়াগনস্টিক সেন্টার সহ পাশেই মাতৃছায়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ফ্রিজের মধ্যে ভ্যাকসিন সহ অপ্রাসঙ্গিক ঔষুধ রাখা ছিলো। যেগুলো রাখার তাদের অনুমতি নেই। এছাড়া ডেঙ্গু পরিক্ষায় সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছিলো। এছাড়া তারা “সি” ক্যাটগরির ডায়াগনস্টিক হয়েও “বি” ক্যাটাগরিরর কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছিলো। এতে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। আগামী ১০ দিনের জন্য কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সংশোধন না হলে পরবর্তীতে অভিজান পরিচালনা চালিয়ে সিলগালা করে বন্ধ করে দেয়া হবে। এবং আমাদের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
Pingback: ফরিদপুরের সদরপুরে দাফনের পাঁচ দিন পর জীবিত গৃহবধূ উদ্ধার