বিখ্যাত আসমানী কবিতার আসমানীর ছেলে বেচে থাকার তাগিদে এখন ভিক্ষা করে

ফরিদপুরের গর্ব , বাংলার কৃতী সন্তান, পল্লী কবি জসিমউদ্দিন । তার অসংখ্য কবিতা রয়েছে । তারমধ্যে আসমানী নামকরণ কবিতার আসমানীর বাড়ি ছিল ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের রসুলপুর গ্রামে ।

” আসমানীকে দেখতে যদি তোমরা সবাই চাও , রহিউদ্দিনের ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও “। এই বিখ্যাত কবিতাটি লিখেছিলেন পল্লী কবি । আসমানীর কয়েক সন্তানের মধ্যে ভিক্ষারত অবস্থায় একজনকে পাওয়া যায় তার নাম আশরাফুল । ফরিদপুর শহরের ভিক্ষা করা অবস্থায় তাকে দেখতে পাওয়া যায় মাঝে মাঝে । তার সাথে পরিচয় হয় । তারপরে জানা যায় আশরাফুল বিখ্যাত আসমানী কবিতার আসমানীর সন্তান সে ।

তার জীবনের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে আসমানী পুত্র আশরাফুল জানান , তিনি কাজ করে খেটে ও পরিশ্রম করে ভালোই ছিলেন । কিন্তু ২০১৪ সালে তার জীবনে নেমে আসে বিপর্যয় । আশরাফুল ২০১৪ সালে ঢাকা থেকে ফরিদপুর ফেরা পথে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ ঘাটে মাইক্রোবাস দুর্ঘটনা ঘটে । দুর্ঘটনায় তার ডান হাতটি ভেঙ্গে যায় । অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে না পারায় এখন পুরোপুরি পঙ্গু । ভিক্ষা করা ছাড়া তার আর কোন উপায় নেই , বেচে থাকার তাড়নায় মানুষের দ্বারে দ্বারে হাত পেতে খাদ্য নিবারণ ও জীবন যাপন করতে হচ্ছে ।

আসমানী পুত্র আশরাফুল আরো জানান , ঈশান গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান চৌধুরী পঙ্কজ আমাকে পঙ্গুভাতা সহ সার্বিক সহযোগীতা করেছিল এবং যখন যা দরকারী প্রয়োজন তিনি তা সাধ্য মতো সহযোগীতা করতেন । কিন্তু ঈশান গোপালপুরের বর্তমান চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম মজনু নির্বাচিত হবার পরে আমার সমস্ত ভাতা বন্ধ করে দেয় এবং আমাকে কোন সহযোগীতা করতে অপারগতা প্রকাশ করে । আমি সকলের নিকট বেচে থাকার জন্য দেশবাসীর সকলের কাছে দোয়া ও সাহায্য প্রার্থনা করছি যেন আমি ভালো ভাবে বেচে থাকতে পারি ।

এ ব্যাপারে ঈশান গোপালপুরের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান চৌধুরী পঙ্কজ জানান , আশরাফুল পল্লী কবি জসিমউদ্দিনের বিখ্যাত আসমানী কবিতার আসমানীর সন্তান বিধায় আমি আশরাফুলকে পঙ্গুভাতা সহ সকল প্রকারের সার্বিক সহযোগীতা করেছি , এখনো করছি ।

ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলামের সাথে এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় ।

0 thoughts on “বিখ্যাত আসমানী কবিতার আসমানীর ছেলে বেচে থাকার তাগিদে এখন ভিক্ষা করে”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top