মোঃ সৈকত হাসান, ফরিদপুর।
শ্রমিকদের যাতায়াতের পথ খুলে দেওয়া এবং কারখানার কর্মকান্ড পরিবেশ বান্ধব করার দাবীতে মানববন্ধন, অমানবীক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া পথ, বিসিকের শ্রমিকদের জন্য খুলে দেওয়া এবং বিসিকের কর্মকান্ড, পরিবেশ বান্ধব করার দাবীতে, ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে মানববন্ধন করেছে শ্রমিক ও স্থানীয় জনগন।
কানাইপুরের সাধারণ শ্রমিক ও স্থানীয় এলাকাবাসী এবং সংস্কার সমাজ কল্যাণ সংঘের ব্যানারে, ১৮ই আগষ্ট-২০২২ বৃহস্পতিবার সকাল ৯ ঘটিকায় ঢাকা খুলনা মহাসড়ক সংলগ্ন বিসিকের প্রধাণ গেইটে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সংস্কার সমাজকল্যান সংঘের সভাপতি, সানজাউর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম, স্থানীয় জনগনদের মধ্যে প্রফেসর আবুল কাসেম, আব্দুর রাজ্জাক, সাইহান এবং শ্রমিকদের মধ্যে মিস পলি এবং মমতাজ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, এই বিসিকের পেছনে রয়েছে একটি কলনী, সেই কলনীতে থাকেন বিসিকের শ্রমিকেরা, তাদের সহজে যাতায়াতের জন্য রাসায়নিক ফ্যাক্টরির পাস দিয়েই রয়েছে একটি পথ, কিন্তু এই পথটি এখন আর শ্রমিকেরা ব্যবহার করতে পারছে না, কারন বেশ কিছুদিন যাবত ইট সিমেন্ট দিয়ে স্থায়ী ভাবে এই গলিটিও বন্ধ করে দিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। বার বার বলা সত্ত্বেও তারা এই পথটি খুলে দিচ্ছেন না। এছাড়া এই ফ্যাক্টরি থেকে সব সময় দূষিত ধোঁয়া বের হয়, ধোঁয়া বের করার কথা বড় টাওয়ার দিয়ে, কিন্তু তারা নিচ দিয়েই ধোয়ক ছাড়ে, যা আরো বেশি ক্ষতি করছে আমাদের। এই ধোঁয়া পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি। আমাদের এই সমস্ত এলাকার গাছগুলোর পাতা বছরে কয়েকবার ঝরে যায়, ফসলাদী কম হয়, এছাড়া শিশু ও বয়স্ক মানুষদের শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। কিছুদিন আগে একজন বয়স্ক লোক মারা ও গেছে। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবী জানাই, অতি দ্রুত এই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, আপনি দ্রুত ব্যবস্থা নিন, নইতো আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেতে বাধ্য হবো।
শ্রমিকদের মধ্য থেকে বলা হয়, তারা কলনীর মধ্যে থাকে, সহজে এই পথ দিয়ে যাতায়াত করত, এখন অনেক দূর ঘুরে যাওয়া আসা করতে হয়, যাওয়া আসা করতে করতে খাবার সময়টুকু ও ঠিক মতো পাওয়া যায় না।
প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে
প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শ্রমিক ও জনসাধারণের এতো এতো অভিযোগ কেনো, এমন প্রশ্নের জবাবে এ এ রসায়ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের ফ্যাক্টরি ম্যানেজার রেজওয়ান খান সাংবাদিকদের জানান, এই ফ্যক্টরিটি সরকারি বিধী মেনেই করা হয়েছে। ফ্যাক্টরি থেকে বের হওয়া ধোঁয়ায় কোন ক্ষতি হয় না, একেক জিনিসের একেক রকম গন্ধ হয়ে থাকে, এসিড থেকে যে গন্ধ হওয়ার কথা তাই হয়, তবে এতে ক্ষতি নাই। পথ বন্ধ করার বিষয়ে তিনি আরো বলেন, এই পথ আমাদের অফিসের জায়গার মধ্যেই অবস্থিত, এখান দিয়ে অনেকেই যাতায়াত করে, নেশা করে, অসামাজিক কাজ করে, যা আমাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষতির দিক হচ্ছে। এর জন্য উপরের স্যারদের নির্দেশেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।