somoyerkhbor.com

ফরিদপুরে গভীর রাতে তালা ভেঙে ময়েজ মঞ্জিলের বিভিন্ন কক্ষ তছনছ | সময়ের খবর

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

ফরিদপুরের কমলাপুরে অবস্থিত ময়েজ মঞ্জিলের নতুন ভবনের তালা ভেঙে বিভিন্ন কক্ষ তছনছ করা হয়েছে। রোববার (৪ জুলাই) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফরিদপুরের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ পুলিশের দুটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ নিয়ে সাম্প্রতিককালে ছয়বার ময়েজ মঞ্জিলে রাতের আঁধারে এমন ঘটনা ঘটল।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, নতুন বিল্ডিংয়ের দোতলার ড্রয়িংরুম ও বেডরুমের ওয়্যারড্রব ও আলমারির তালা ভেঙে বিভিন্ন মালামাল তছনছ করা হয়েছে। সেখানে কাপড়চোপড়, তৈজসপত্র এবং ব্যবহার্য জিনিষপত্র মেঝেতে ফেলা। ঘরে টেলিভিশন এবং এসি ছিল। তবে কোনো মালামাল খোয়া যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

ময়েজ মঞ্জিলের কেয়ারটেকার মো. আফসার খান বলেন, রোববার রাত ১১টা পর্যন্ত তারা ময়েজ মঞ্জিলের পুরাতন বিল্ডিংয়ের একটি কক্ষে অবস্থান করেন তিনি। পরে মূল বাউন্ডারির বাইরের কক্ষে এসে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে এসে নতুন ভবনের কলাপসিবল গেটের তালা ভাঙা দেখতে পান। এর আগে সাম্প্রতিককালে আরো পাঁচবার ময়েজ মঞ্জিলে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি আশপাশে অনুসন্ধান করে উত্তরের সীমানা দেয়ালসংলগ্ন স্থানো অজ্ঞাত ব্যক্তির পায়ের ছাপ দেখতে পান।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাস্থল ময়েজ মঞ্জিল হওয়ায় তারা সঙ্গত কারণেই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছেন। টিভি ফুটেজ ও অন্যান্য সোর্স ব্যবহার করে বিষয়টির গভীর তদন্ত করে দেখা হবে। এর আগে সোমবার সকালে কোতোয়ালি থানার এসআই আনিস এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যান।

সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের মেয়ে চৌধুরী নায়াব ইউসুফ সাংবাদিকদের বলেন, ফরিদপুরে গেলে তারা ওই বাড়িতেই থাকেন। বিষয়টি কি শুধুই চোরের হানা নাকি দুর্বৃত্তদের অন্য কোনো লক্ষ্য ছিল সেটি খতিয়ে দেখা উচিত। আশা করি ফরিদপুরের পুলিশ বিভাগ ঘটনাটি গুরুত্বের সাথে দেখবে। এ ব্য‍াপারে কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হবে।

Exit mobile version