কাশফুলের সাদা বিছানা দেখতে ফরিদপুরের সদরপুরে মানুষের ভিড়। বাংলার ঋতুতে এখন শরতকাল চলছে। প্রকৃতি সাদা মেঘের সাথে দেশের বিভিন্ন স্থানে কাশফুলের সাদা চাদর বিছিয়ে যেন প্রকৃতিপ্রেমীদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। বাংলার চিরচেনা সেই রূপ-বৈচিত্র দেখতে শহর ও আশেপাশের মানুষ ছুটে যাচ্ছে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে। প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে সাদা শূভ্রতায় নিজেকে প্রশান্ত করছে।
তেমনি একটি স্থান ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার আকোটের চর ইউনিয়নের একটি বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল। যেখানে উপরের দিকে তাকালে শরতের সাদা শুভ্র মেঘ উড়ে যাচ্ছে আপন মনে ও নিচে দিকে দেখা যাবে বাতাসে সাথে সাথে কাশফুলের খেলা। যে কোনো মানুষকে এই দৃশ্য খুব সহজেই আকৃষ্ট করে ফেলতে পারে। এজন্যই দূরদূরান্ত থেকে প্রতিনিয়ত প্রকৃতিপ্রেমীরা এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখতে ছুটে আসছে। সুন্দর সময়টাকে ক্যামেরাবন্দী করছে। ফরিদপুর জেলা শহর থেকে প্রায় ৩০-৩৫ কিলোমিটার দূর হলেও তা দর্শকপ্রেমীদের কাছে বাঁধা সৃষ্টি করছেনা। ফরিদপুর জেলা ছাড়াও আশেপাশের অঞ্চল থেকে লোকজন ছুটে আসছে এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
কয়েক বর্গকিলোমিটার জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এই কাশবন প্রাকৃতিকভাবেই সৃষ্টি হয়। বর্ষার পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথেই এখানে কাশফুল ফুটতে শুরু করে। ফরিদপুর জেলায় এতো বড় জায়গাজুড়ে কাশফুল কোথাও দেখতে পাওয়া যায়না। এজন্যই শহরের কাজের ক্লান্তি দূর করে মনকে প্রশান্তি দিতে পরিবার, বন্ধুসহ অনেকেই এই জায়গা ভ্রমণে আসছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবছরই এই সময় এমন কাশফুল ফোটে এবং তা দেখতে প্রতিবছরই অনেক লোকজন আসে। এই সুবাদে তখন এই অঞ্চলের মানুষদের বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়। সাথে জানা যায় ফুল ঝরে গেলে তখন তারা এই কাশফুল গাছ গরুর খাবার ও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে। এছাড়াও শীতের সময় এই জায়াগায় কিছু চাষ হয়না বলে এই সুদীর্ঘ এলাকা শুধু চারণভূমি হিসেবে ব্যবহার হয়।এই সময় তারা সাপের থেকে সাবধান থাকতে বলেন দর্শনার্থীদের।
এক দর্শনার্থী জানান- আমরা ফরিদপুর শহর থেকে এখানে ঘুরতে এসেছি বন্ধুবান্ধবসহ। যদিও শহর থেকে বেশ খানিকটা দূরে তবু এ-ই জায়গা এসে আমাদের ভালো লাগছে।
কাশবন গুগল ম্যাপ লিংক
চরভদ্রাসন রোড লোকেশন ম্যাপ লিংক (30.6কিলোমিটার)
https://goo.gl/maps/ZY7RGAaWrTovDFsC6
সদরপুর রোড লিংক 42.2 কিলোমিটার
https://goo.gl/maps/ha5SVJpW1HLojFS66