নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
আজ বুধবার (৩১ মার্চ) সকালে বগুড়া জেলার শেরপুরের মহিপুর বুড়িতলা এলাকায় প্রবাসীর স্ত্রী, জহুরা আক্তার জুঁই দুই সন্তান রেখে দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে অনশন করছে। জহুরা আক্তার জুঁই প্রেমিক দাবী করে আহসান হাবীবের বাড়িতে এ অনশন করছে। প্রেমিক মহিপুর বুড়িতলা এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আহসান হাবীব, আহসান হাবীব পেশায় একজন যমুনা গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের স্টোর কিপার।
জহুরা আক্তার জুই এর পূর্বের স্বামীর এলাকাবাসীর থেকে জানা যায়, মালয়েশিয়া প্রবাসী মনির ও জালাল শেখ এর মেয়ে জহুরা আক্তার জুই গত ৬ বছর পূর্বে পৌর শহরের শান্তিনগর এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী মনিরের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর মনির তার স্ত্রী জহুরা আক্তার জুই সহ এক ছেলে এক মেয়ে রেখে মালয়েশিয়া যায়, দু এক বছর পরপর একবার করে দেশে আসে।
গত এক বছর পূর্বে করোনাকালিন সময় থেকে মহিপুর বুড়িতলা এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আহসান হাবীবের সাথে ইমোতে পরিচয় হয়। এরপর থেকে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। জহুরা আক্তার জুই এর স্বামী বিদেশ থাকায় এক পর্যায়ে আহসান হাবিব বিয়ের প্রলোভন দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। গত মার্চ মাসের ৯ তারিখে শান্তিনগর জুঁইয়ের স্বামীর বাড়িতে গিয়ে পুনরায় আবার শারীরিক সম্পর্ক করলে এলাকায় এ ঘটনা জানাজানি হয়। পরবর্তীতে পরকীয়ার ঘটনাটি প্রবাসী স্বামী মনির জানতে পেরে যায় আর মালয়েশিয়া থেকেই তার স্ত্রীকে তালাক দেয়। এর পরে জহুর আক্তার জুই ১ম স্বামীর বাড়ি থেকে বিতারিত হয়ে আহসান হাবিব কে বিয়ে করতে চাপ সৃষ্টি করে। এ অবস্থায় আহসান হাবিব বিয়ে করতে অস্বীকার করায় আজ বুধবার সকালে স্বামীর দাবিতে আহসান হাবিব, প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে অনশন করে। এতে বাড়িঘর তালা দিয়ে আহসান হাবিব ও তার পরিবার পালিয়ে যায়।
উপরক্ত ঘটনা নিয়ে জহুরা আক্তার জুই এর সঙ্গে সময়ের খবর প্রতিনিধি জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাকে আহসান হাবিব স্বামীর দাবি না দিলে আমি আহসান হাবিবের বাড়িতে আমরণ অনশন করব।
এ বিষয়ে আহসান হাবীবের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। এ ব্যাপারে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত আবুল কালাম আজাদ জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই।