করিম জুটমিলে অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রনে ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রমে স্বেচ্ছাসেবী ভিপি গিয়াস –

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফরিদপুর শহরতলীর কানাইপুরে অবস্থিত মেসার্স করিম জুট স্পিনার্স মিলে ভয়াবহ আগুনের আগুনে পুড়ে গেছে প্রায় ৫ কোটি টাকার পাট। ফায়ার সার্ভিসের ফরিদপুর ও রাজবাড়ীর ১০টি ইউনিট তিন ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।

জুটমিলের বিভাগীয় প্রধান মোঃ রমজান মিয়া জানান, মিলের অভ্যন্তরের ১৯ নং গোডাউন থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। পরে আগুন দ্রুত ২০ নং গোডাউনেও ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে মিলের শ্রমিকেরা আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। আগুন নেভানোর জন্য ফায়ার সার্ভিসের ফরিদপুর, মধুখালী, বোয়ালমারী, সালথা ও রাজবাড়ী জেলার ১০টি ইউনিট তিন ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।

তাৎক্ষনিক ভাবে আগুন লাগার কোন কারন জানাতে পারেনি মিল কতৃপক্ষ। মিল কতৃপক্ষ জানায়, আগুনে দুইটি গোডাউনে থাকা কয়েক হাজার মন পাট পুড়ে গেছে। দুইটা গোডাউনে ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকার পাট মজুদ ছিল। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুম রেজা, কানাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফকির মোঃ বেলায়েত হোসেন।

ভিপি গিয়াস জানান, আমি একজন স্বেচ্ছাসেবী তবে আমার ব্যাক্তিগত কাজে কানাইপুর বাজারে যাওয়ার সময় করিম জুটের পাটের গোডাউনের দিকে খেয়াল হয়! দেখি প্রচুর ধুঁয়া বের হচ্ছে। এটা দেখে আমি বিবেকের তাড়নায় নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে আগুন নিভাতে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগী হিসেবে কাজ করি।

তিনি আরো বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যেভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে সে কারনে আমি তাদের সবাইকে স্যালুট জানাই।

ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন ম্যানেজার মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট সহ স্বেচ্ছাসেবী ভিসি গিয়াস ও জুট মিলের কর্মচারীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তিন ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়। তবে কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা তদন্ত করে জানা যাবে।

জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, আগুন লাগার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এবং ক্ষতির পরিমান নির্ধারণ করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top