ফরিদপুর সদর উপজেলার ডাঙ্গী গ্রামের জলাধারে আটকে পড়া সেই কুমিরটিকে পাকড়াও করেছে এলাকাবাসী। সোমবার (৯ আগষ্ট) দুপুরে ওই কুমিরটি জলাধারের কাছে হাস খেতে আসলে এলাকাবাসী দেখে সকলে একত্রিত হয়ে কুমিরটিকে আটক করে। বর্তমানে কুমিরটিকে জাল দিয়ে জড়িয়ে রাখা হয়েছে। এটি ৭ফুট লম্বা ও প্রস্থে দেড় ফিট।
সন্ধায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কুমিরটিকে নিতে খুলনা থেকে প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের কর্মকর্তাবৃন্দ ফরিদপুরের উদ্যোশ্যে রওনা হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে ফালুর খাল হিসেবে পরিচিত ওই জলাধারে গত ২৪ জুলাই কুমিরটিকে দেখতে পায় এলাকাবাসী। এরপর গত ২৮ ও ৩১ আগস্ট কুমিরটিকে ধরতে দুই দফা অভিযান চালায় প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের কর্মকর্তাবৃন্দ। তবে দুইটি অভিযান পরিচালনা করা হলেও কুমিরটিকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
জানা যায়, জলাধারটির এলাকা ভেদে গভীরতা ৫ মিটার থেকে ২০ মিটার পর্যন্ত। এতোদিন কুমিরের ভয়ে আতঙ্কিত সময় কাটাচ্ছিল চর এলাকার বাসিন্দারা। গত ২৪ জুলাই সকালে ওই কুমিরটি চর এলাকার ওই জলাধারে দেখেন এলাকাবাসী। এরপর ওই এলাকায় মাইকিং করে সর্ব সাধারণকে ওই জলাশয়ে না নামার পরামর্শ দেওয়া হয়।
দুইটি অভিযানে এর আগে জাল দিয়ে বেশ কয়েকবার কুমিরটি ধরার চেষ্টা করা হয়। কুমিরটি জালে আটকা পড়ে, কিন্তু প্রতিবারই জাল ছিড়ে বের হয়ে যায়।
নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোস্তাকুজ্জামান বলেন, কুমিরটি ধরার জন্য এর আগে দুটি অভিযান ব্যর্থ হয়। ফলে এলাকাবাসীর মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কুমিরটিকে এলাকাবাসী দুপুরে আটক করেছে। কুমিরটিকে নিতে খুলনা থেকে প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের কর্মকর্তাবৃন্দ ফরিদপুরের উদ্যোশ্যে রওনা হয়েছেন। তারা আসলে কুমিরটিকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।