somoyerkhbor.com

বাঙ্গালীর ঐতিহ্য আবারও ফিরে আসবে ঘুড়ি ওড়ানোর মাধ্যমে, ১লা জানুয়ারী ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক,

প্রতি বছরের ন্যায় ৪র্থ বারের মত এবছরও “চলো হারাই শৈশবে” শিরোনামে অনুষ্ঠীত হতে যাচ্ছে ঘুড়ি ও ফানুস উৎসব ফরিদপুর সিটি পেইজ এর আয়োজনে আগামী ১লা জানুয়ারী ২০২১ রোজ শুক্রবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে ,স্থান ধলার মোড় পদ্মার চর ফরিদপুর সদর,ফরিদপুর।

আকাশে চোখ পরলেই একটা সময় দেখা যেতো ঘুড়ি ও লড়াইয়ের দৃশ্য বাহারি চিত্র! বর্তমান এই পরিস্থিতিতে তাদের দেখা পাওয়া খুবই কষ্টকর । এখনের উঠতি বয়সি নেটপ্রেমী কিংবা স্মার্টফোনে মুখ লুকিয়ে রাখা তরুণ প্রজন্মকে মাঠে ফেরাতে দারুণ কাজ করছে ঘুড়ি। গ্রাম এবং শহরে এখন ঘুড়ি ওড়ানো উৎসব অনেকটাই বন্ধ হয়ে গেছে কম্পিউটার বা ভিডিও গেইম এর কারণে, শিশু কিশোররা ভার্সুয়ালে এগুলো খেলেই বেশি সময় কাটায়। যারা মাঠে যায় তারাও ফুটবল কিংবা ক্রিকেট খেলে। গ্রামে গ্রামে ছোট বড় শিশু কিশোরদের মধ্যেও ক্রিকেট খেলার আগ্রহ অনেকটাই বেড়ে গেছে। শহর কিংবা গ্রাম সবখানেই ঘুড়ি ওড়ানো উৎসব বা খেলা একেবারে হারিয়ে গেছে। কোন একসময় এ দেশের ছেলেপুলেরা প্রচুর ঘুড়ি ওড়াতো। বিকেল হলেই উড়ে বেড়াত হরেক রঙের নানা রঙ্গের লাল, নীল, সবুজ, হলুদ, বেগুনি ঘুড়িতে নীল আকাশ ছেয়ে যেত! সেসময় দেখে মনে হতো, আকাশে হয়তো নানা রঙের মেলা বসেছে। কোনো ঘুড়ি কাটা গেলে মনে হতো আকাশে রঙের মেলা থেকে যেন একটি রং এই বুঝি খসে পড়ল।

করোনাভাইরাস কালিন সকলেই যখন লকডাউনে গৃহবন্দী তখন অনেকেই ফিরেছিলো ঘুড়ি ওড়ানো সেই বিকেলে। স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় শিশু-কিশোরগুলো ঘুড়ি উড়াতে বেরিয়ে পরতো বাসার ছাদে নয়তো খোলা মাঠে, ঠিক তেমনই বড়দের অফিস-আদালত ও ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তারাও ঘুড়ি উড়ানোর উৎসবে মেতে উঠেছিলেন। সে সময়টায় বিকেল হলেই ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাসার ছাদ বা গ্রামের মাঠে-ঘাটে দেখা গিয়েছিলো ঘুড়ি উড়ানোর উৎসব।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ফরিদপুর এর মাননীয় জেলা প্রশাসক জনাব অতুল সরকার এবং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন টাইমস ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচএম আক্তারুল ইসলাম।
ফরিদপুরবাসীর প্রাণের এ উৎসবকে প্রাণবন্ত করতে সকলের উপস্থিতি এবং অংশগ্রহন আয়োজকদের একান্তভাবে কাম্য।

উক্ত অনুষ্টানে করোনা সচেতনতায় বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে সকলকে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসতে হবে।

Exit mobile version