রাস্তায় বৈধভাবে মোটরবাইক চালানোর পূর্বশর্ত চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা।
আমাদের মধ্যে অনেকেই এ কাজটি করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হোন কিংবা দালালের সহযোগিতা নিয়ে অনেক খরচ করে কাজটি সমাধা করেন। আজ আপনাদের সাথে লাইসেন্স পাওয়ার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো।
◾লার্নার লাইসেন্স করণ:
প্রথমেই আপনাকে শিক্ষানবিশ বা লার্নার লাইসেন্স করে নিতে হবে। বিআরটিএর সার্ভিস পোর্টালের মাধ্যমে আপনি বাসায় বসেও ইন্সট্যান্ট কাজটা করে ফেলতে পারেন।
এর জন্য যে সকল ডকুমেন্টস লাগবে তা হলো
• NID এর স্ক্যান কপি বা ফটোকপি
• শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
• মেডিক্যাল সার্টিফিকেট (রেজিস্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক সত্যায়িত)
• ইউটিলিটি বিলের কপি
• আপনার সদ্য তোলা ছবি
আরও পড়ুনঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স কিভাবে নবায়ন (Re-New) করবেন?
ক্যাটাগরি-১ (শুধু মোটরবাইক) এর জন্য ৩৪৫/-
ক্যাটাগরি-২ (মোটরবাইক+হালকা যান) এর জন্য ৫১৮/- পরিশোধ করতে হবে।
লার্নার লাইসেন্সে পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান উল্লেখ থাকবে।
মনে রাখবেন, এটি শিক্ষানবিশ লাইসেন্স ও প্রধান সড়কে এটি দেখালেও পুলিশ আপনাকে লাইসেন্সের মামলা দিতে পারে।
◾পরীক্ষা:
নির্ধারিত দিনে বিআরটিএতে লার্নারের মূল কপি, মোটরবাইক নিয়ে চলে যাবেন। সকালে শুরুতে লিখিত পরীক্ষা হবে। প্রশ্নগুলো সহজই হয় বলতে গেলে। বেসিক জ্ঞান থাকলে সবই পারবেন। আমার পরীক্ষায় আসা প্রশ্নটি আপনাদের সুবিধার্থে দিয়ে দিলাম। এছাড়াও বিআরটিএ ওয়েবসাইটে লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নব্যাংক পাবেন।
লিখিত শেষ হলে এরপর মৌখিক পরীক্ষা হবে। সেখানে সাধারণত বিভিন্ন রোড সাইন জিজ্ঞেস করে। দেশে প্রচলিত সবগুলো রোড সাইন সম্বলিত বই বিআরটিএ ওয়েবসাইটে পাবেন। এছাড়া সাইনের একটা লিফলেটের ছবি দিয়ে দিলাম এখানে।
এবার প্র্যাকটিকাল বা ফিল্ড টেস্ট। এর জন্য এমন মোটরবাইক ব্যবহার করবেন যেটার টার্নিং রেডিয়াস কম বা সোজা বাংলায় ঘাড় ভালো ঘোরে!
আট-দশ ফুট দূরে দূরে কয়েকটি খুটি থাকবে। জিগজ্যাগ ভাবে আপনাকে পা মাটিতে না নামিয়ে চলন্ত অবস্থায় পুরোটা ঘুরে আসতে হবে।
◾স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন:
পরীক্ষায় পাস করে থাকলে আপনি এবার লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। প্রথমেই আপনাকে নির্ধারিত ব্যাংকে বা বিকাশের মাধ্যমে ২৫৪২/- টাকা প্রদান করতে হবে।
যে সকল ডকুমেন্টস লাগবে–
• নির্ধারিত ফরমে আবেদন
• NID ফটোকপি/স্ক্যান কপি
• পাশ লার্নার
• ২৫৪২/- জমা স্লিপ
• সদ্য তোলা ছবি
আরও পডুনঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাকটিক্যাল লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর
সব কাগজপত্র নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ অফিসে গিয়ে জমা দিয়ে বায়োমেট্রিক করাতে হবে। কাজ শেষ হলে একটা অস্থায়ী অনুমতিপত্র পাবেন। স্মার্ট কার্ড না পাওয়া পর্যন্ত সেটা দিয়েই সারা দেশে বৈধভাবে মোটরবাইক চালাতে পারবেন। DL Checker এপস কিংবা টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে লাইসেন্স প্রাপ্তিটা ট্র্যাক করতে পারবেন।
আশা করি পদ্ধতিটা বোঝাতে পেরেছি। কোন কিছু না বুঝলে প্রশ্ন করুন। নিজে নিজে ড্রাইভিং লাইসেন্স করুন ও সেফটি মেইনটেইন করে বৈধভাবে মোটরবাইক চালান।
ধন্যবাদ!
0 Comments on “মটর ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন”