সময়টা তখন ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারির ১৬ তারিখ। প্রতিদিনের মত রাতে শুটিং শেষ করে বাড়ি ফিরতেই হটাৎ বুকে উঠল চিনচিন ব্যথা।
বাসায় অবস্থানরত সহকারী মিন্টু খাবার পানি এনে খাওয়ালেন মান্নাকে। এরপর একটু হাঁটাহাঁটি করে কিছুটা সুস্থ লাগার পরে তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন। ভোর সাড়ে চারটার দিকে বুকে আবারও সেই একই ব্যথা। ব্যথা সয্য না করতে পেরে নিজেই গৃহ সহকর্মী মিন্টুকে ঘুম থেকে তুলে বললেন, ‘আমার আবারও বুকে ব্যথা শুরু হয়েছে তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নে। হাসপাতালে যাব।’
তৈরি হয়ে গৃহকর্মী মিন্টুকে সঙ্গে নিয়ে নিজেই গাড়ি চালিয়ে নিজ বাসা উত্তরা থেকে এলেন গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে। কিন্তু ফিরলেন প্রাণহীন হয়ে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন এ এস এম আসলাম তালুকদার মান্না। দেশের সিনেমা প্রেমিদের মনে তৈরি হল হাহাকার । বিদায় নিলেন ঢালিউডের জনপ্রিয় যুবরাজ নায়ক মান্না।
আজ এক যুগের পরেও এই নায়ককে তার ভক্তরা ভুলতে পারেনি৷ এ প্রজন্ম শুধু নায়ক মান্নাকে মিম আর কিছু গালি শুনে জানে৷ অথচ তারা জানে না আমাদের একজন নায়ক ছিলেন, যিনি সংগ্রাম করে নিজের জায়গা করে নিয়েছিলেন সবার মাঝে৷
এতো বহুমুখী অভিনেতা, স্মার্ট , সুন্দর বাচনভঙ্গি খুব কম নায়কের মাঝেই ছিলো৷
ওপারে ভালো থাকবেন শৈশবের একশন হিরো৷ যার মুভি দেখার জন্যে দুই টাকা খরচ করে দোকানে ঢুকতাম৷ কিন্তু কোটি টাকার তৃপ্তি নিয়ে বের হতাম৷
লিখেছে নায়ক মান্নার একজন ভক্ত Rahat Ahmed Tulon