বিয়ে হয়েছে ১০১ বই দেনমোহর দিয়ে, শুনতেই অবাক লাগে। হ্যাঁ ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গায় । বর রুহুল মিথুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এবং কনে সুমাইয়া পারভীন অন্তরা কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী । এর আগে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বগুরায়- নিখিল নওশাদ ও সান্ত্বনা খাতুন দম্পতির । এই বিষয়টির প্রশংসা অনেকই করেছেন। যেটি আবার ঘটেছে চুয়াডাঙ্গার রুহুল মিথুন ও সুমাইয়া পারভীন অন্তরা দম্পতি। বর রুহুল মিথুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন । এখন তিনি বর্তমানে একটি সরকারি ব্যাংকে কর্মরত আছেন। তাদের উভয়ের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর উপজেলায়। তাদের বিয়ে হয় গত অক্টোবর মাসের ২৯ তারিখে এবং পারিবারিকভাবে সম্পন্ন হয় ।
আরও পড়ূনঃ ফরিদপুরে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা নি*হত ৪
অন্তরার ছিল বইয়ের প্রতি রয়েছে অগাধ ভালোবাসা। সেই বইয়ের প্রতি ভালোবাসা থেকে তার ইচ্ছা অনুযায়ী টাকা, স্বর্ণালংকার, গয়নার পরিবর্তে বেছে নিয়েছেন ১০১টি বই। ব্যতিক্রমী সেই ইচ্ছে থেকেই তিনি বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন।
আরও পড়ুনঃ ওমরা হজে যাওয়ার সময় ইয়াবাসহ বিমানবন্দরে ইউপি চেয়ারম্যান আটক
সুমাইয়া পারভীন অন্তরা এ বিষয়ে বলেন “সবাই ভাবে বিয়েতে অর্থ ও স্বর্ণালংকারই কেবল দেনমোহর হতে পারে, কিন্তু পড়ে জানতে পারি অন্য কিছুতেও দেনমোহর হতে পারে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বিয়েতে ১০১টি বই দেনমোহর হিসেবে চাইবো। আমার এই সিদ্ধান্তের কথা বাবা-মাকে জানালে তারা সম্মতি দেন এবং বইয়ের নাম সংগ্রহ করার পরামর্শ দেন। আমি পছন্দের ১০১টি বইয়ের নাম সংগ্রহ করি। আমাদের বিয়ে ঠিক হয় পারিবারিকভাবে। আমার ইচ্ছা মতো ১০১টি বই নগদ হস্তান্তর করেন । এতে আমি আনন্দিত হই । আমার স্বামীর কাঁধে দেনমোহরের ঋণের বোঝা থাকুক এটাও আমি কখনো চাইনি। । যে আমাকে ভালোবাসে সে এমনিতেই সঙ্গে থাকবে আমাড় ।আমাদের সমাজে উচ্চহারে দেনমোহর নির্ধারণ করা হয়ে থাকে । যার কারনে সেই দেনমোহরের অধিকাংশই টাকা অপরিশোধিত থাকে। এজন্য আমি ছাত্রজীবন থেকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।”
আরও পড়ূনঃ মায়ের মৃতদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা দিলো মেয়ে
রুহুল মিথুন বলেন, “বিয়ের আগে দুই পরিবারের আলোচনায় আমার শ্বশুর তার মেয়ের ইচ্ছের কথা জানান এবং ১০১টি বইয়ের লিস্ট দেন। বইগুলো খুঁজে পেতে অনেকটাই কষ্ট হয়েছে তবুও উপভোগ করেছি। আমারও ছোটবেলা থেকে বইয়ের প্রতি ভালোবাসা ছিল, তাই বইপ্রেমী কাউকে জীবনসঙ্গী হিসেবে চাইতাম। যেটি ভাগ্য ক্রমে সময়ের পরিক্রমায় পূরণ হয়েছে।”