পেটের অতিরিক্ত ভুড়ি/চর্বি মুক্তির উপায়.!

একটানা বসে থাকায় শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে বাড়তি পাওনা হয় বেলি ফ্যাট । তখন জনমনে তৈরি হয় প্রশ্ন হয় অশান্তিকর পরিস্থিতি এটার মত বোধহয় আর কিছু চিন্তা নেই মনেপ্রানে। দ্রুত শরীর বৃ্দ্ধির জন্য পছন্দের পোশাক কিছুদিনের মধ্যেই বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু কখনো কি একবার ভেবে দেখেছেন, শুধু মাত্র শরীরের ফ্যাট বেড়ে গেছে বলেই কি, পেটের মেদও বেড়েছে। সেটা কিন্তু নয়…

অতিরিক্ত অ্যালকোহল পানের জন্যও ভুঁড়ি তৈরি হয় এটা বুঝতে কোন অসুবিধা নেই, যে বা যারা একটু বেশী পরিমাণে ড্রিঙ্ক করেন তাদের ভুঁড়ি হয়েই থাকে। শরীরে খুব বেশী অ্যালকোহল গেলে ফলাফল স্বরূপ এটা দেখতেই পাবেন। তাই যারা মাঝে মধ্যেই ড্রিঙ্ক করেন, ভুঁড়ি কমাতে চাইলে তো অবশ্যই অ্যালকোহল সেবনের মাত্রা কমাতেই হবে। অ্যালকোহল পেটের অন্য খাবারকে ঠিক মত হজম হতে দেয় না। সঠিক হজম প্রক্রিয়ায় বাঁধার সৃষ্টি করে। যেটা আপনার শরীরের জন্য একদমই ভালো নয়। আর ভেতরে ভেতরে সঠিক ভাবে খাবার হজম না হওয়াটা কিন্তু শরীরে অতিরিক্ত ভুঁড়ি বা চর্বির একটা কারণ।
মাত্রাঅতিরিক্ত চিন্তা ও কিন্তু শরীর খারাপ ও ভুঁড়ি বৃদ্ধির একটা কারন। কারন অতিরিক্ত স্ট্রেস কোথাও একটা শরীরকে পুরোপুরি ফিট থাকতে দেয় না। অতিরিক্ত চিন্তার ফলে আপনি নিজের দিকে তেমন মন দেন না। খাওয়াদাওয়া সময়মত করেন না। নিয়ম মেনে সঠিক সময়ে ডায়েট চার্ট মানেন না। এছাড়াও অতিরিক্ত চিন্তার কারনে রাতের ঘুম চোখ থেকে হারিয়ে যায়। যেটা খুবই ক্ষতিকর। একজন সুস্থ মানুষের প্রতি রাতে অনতোত আট ঘণ্টা ঘুম দরকার। শরীরে নিদ্যিষ্ট পরিমানে দিনে রেস্ট না দিলে, খাবার সঠিক সময় না খাওয়া ঠিকমত হজম হয় না। প্রতিনিয়ত এই অনিয়মে খাবার খাওয়া, অনিয়মে রাতে ঘুম, ভুঁড়ি বৃদ্ধির সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়।এজন্যই শরীরে অতিরিক্ত ভুঁড়ি থেকে দূরে থাকতে, অতিরিক্ত তেলে ভাজা-পুরা খাবার কম খান। হেলদি ডায়েট মেনে চলুন। সঠিক সময় মেনে চলুন। রাতে উপযুক্ত বিশ্রাম। এবং রোজ একটু এক্সারসাইজ। ব্যাস এই কটা অভ্যাস আপনাকে শুধু অতিরিক্ত ভুঁড়ি থেকেই দূরে রাখবে না, আপনাকে সবদিক থেকে ভালো রাখবে।
বেবি হওয়ার আগে পেট ফোলা
গর্ভবতী মহিলারা

উপরক্ত কারন গুলো ছাড়াও ভুঁড়ি বৃদ্ধির আর একটাই কারন হতে পারে। সেটা হল আপনার নবাগত ছোট্ট শিশুর আগমন। তবে বাচ্চা হওয়ার আগে মহিলাদের যে ভুঁড়িটা হয়, সেটা নিয়ে চিন্তার কোন কারনই নেই। এটা যেমন হয় আবার পরবর্তীতে তেমনই আবার কমেও যাবে। এই বেলি ফ্যাট আপনার ছোট্ট সোনাকে আপনার শরীরে সুরক্ষিত রাখে। বেবি একটা সুরক্ষিত কুঠুরিতে থাকে। বেবি হবার পর সেটা তো একটু অবশ্যই কমে যাবে।যদি কোন কারণে সেটা না কমে তবে সঠিক ডায়েট, এক্সারসাইজ, ইয়গা এসবের মাধ্যমে কমানো যেতেই পারে। তবে এই এক্সারসাইজ, ডায়েট চার্ট আপনি নিজেই ঠিক করে নেবেন না। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে, তিনি যেমন ঠিক করে দেবেন সেই অনুযায়ী করবেন। কারন কোন কিছুই আপনার বেবি ও আপনার শরীরের থেকে বড় নয়।

সর্বশেষ যে কারন উল্লেখ করা হয়েছে এটি ছাড়া, বাকি কারনে গুলো আছে সেগুলো হিসেবে ভুঁড়ি কিন্তু একদমই ফেলে রাখার মত কোন বিষয় নয়। তাই সর্বপ্রথম লক্ষ করুন যে,আসলে ঠিক কেন কোন ভুলটার জন্য ভুঁড়ি কমছে না। তারপর সেই অনুযায়ী কোন বিশেষঙ্গ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুণ।

0 Comments on “পেটের অতিরিক্ত ভুড়ি/চর্বি মুক্তির উপায়.!”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *