somoyerkhbor.com

অনেক নাটকের পর অবশেষে নিপুণকে মেনে নিলেন রুবেল-ডিপজলরা

সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে থাকার অনুমতি পেয়েছেন অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার। বহুল প্রতীক্ষিত আদেশ এবং অনেক নাটকীয়তার পর অবশেষে মিশা-জায়েদ প্যানেলের বিজয়ীদের কাছে গৃহীত হয় নিপুণ।

রোববার বিকেলে এফডিসিতে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে আসেন অভিনেতা রুবেল, ডিপজল, আলীরাজ, জয় চৌধুরী, নাদির খান, অভিনেত্রী মৌসুমী ও অঞ্জনা। সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারি ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় তারাও অংশ নেন।

এর মধ্য দিয়ে শিল্পী সমিতির সঙ্গে ১০ মাসের বিভক্তির অবসান হলো।

মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে বিজয়ীদের রবিবারের সভায় যোগ দেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বৈঠকে অংশ নেন রুবেল-ডিপজল। তারা জানান, আলাদত রায় দেওয়ার পর থেকে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে নিপুণকে স্বাগত জানিয়েছেন।

এদিকে ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বাধীন প্যানেল থেকে অভিনেতা রিয়াজ আহমেদ, সাইমন সাদিক, মামনুন হাসান ইমন, অভিনেত্রী শাহনূর, কেয়া, জেসমিন, আরমান ও জাদু আজাদ উপস্থিত ছিলেন। এদিন শপথ নেন মিশা-জায়েদ প্যানেলের মৌসুমী।

শিল্পী সমিতির সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক ইমন বলেন, “মৌসুমী আপা আজ শপথ নিয়েছেন। ডিপজল ভাই ছাড়াও রুবেল ভাইসহ নির্বাচিত সবাই শিল্পী সমিতিতে এসেছেন। তারা নিপ্পনকে মেনে নিয়েছেন। এখন আমাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।”

অভিনেতা আরও বলেন, ‘অনেকদিন পর সবার সঙ্গে আড্ডা দিলাম। নির্বাচনের পর নানা ঘটনায় আমরা প্রায় এক বছর পিছিয়ে গেছি। এখন একসঙ্গে এগিয়ে যেতে চাই।

আরও পড়ুনঃ আমার বিষয়ে একটি মনগড়া কথা ছড়ানো হচ্ছে : নিপুণ

ডিপজলের দাবি, আমি সমিতিতে বিভক্তি ও দ্বন্দ্ব চাইনি, পছন্দও করিনি। আমি সব সময় বলেছি চলচ্চিত্র ও শিল্পীদের স্বার্থে আমাদের একসঙ্গে থাকতে হবে।

অভিনেতা বলেন, “নীতিগতভাবে আমরা আমাদের প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে সমর্থন করেছি। যেহেতু বিষয়টি আদালতে পৌঁছেছে, তাই আমরা আদালতের রায়ের অপেক্ষায় রয়েছি। আমি শুরু থেকেই বলেছি, সবাইকে রায় মেনে নিতে হবে। আদালত দেবে।

ডিপজল আরও বলেন, আদালত বলেছেন, সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনে নিপুনের কোনো বাধা নেই। তাই সভায় অংশ নিয়ে সমিতির কার্যক্রম গতিশীল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিল্পীরা আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছেন। আমি যদি সেই দায়িত্ব পালন না করি, তাহলে তাদের কী জবাব দেব?’

Exit mobile version