অভিনেত্রী রুনা খান যে মন্ত্রে ৪০ কেজি ওজন কমিয়েছেন, দিনে দিনে মোটা হচ্ছেন? ওজন কমাতে চান? তাহলে অনুসরণ করুন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুনা খানকে। এক বছর আগে যারা রুনাকে দেখেছিল তারা এখন তাকে দেখে আতঙ্কিত। কয়েক বছর আগে রুনা খানের ওজন ছিল ১০৫ কেজি। এখন তা কমে ৬৫ কেজি হয়েছে।
৪০ কেজি ওজন কমিয়ে নিজেকে পুরোপুরি বদলে ফেলেছেন রুনা খান। কীভাবে এই কঠিন কাজটি করলেন অভিনেত্রী? এমন প্রশ্ন সবার মনে। রুনা খান নিজেই জানিয়েছেন সেই ‘গোপন’।
রুনার মতে,
তার ওজন কমার পেছনের কারণ তার খাদ্যাভ্যাস এবং বিষাক্ত মানুষের মেলামেশা। তিনি বলেন, মোটা হতে শুরু করার পর অনেকেই তাকে অনেক কথা বলতেন। এমনকি যাদেরকে তিনি বন্ধু এবং হৃদয়ের মানুষ মনে করতেন তাদের কাছ থেকেও ওজন নিয়ে তাকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে।
দিনের পর দিন অপমান শুনে হতাশ হয়ে পড়েন রুনা। পরে সে সব লোককে ছেড়ে চলে যায়। অভিনেত্রী জানান, গত কয়েক বছরে তিনি ওজন কমাতে সাঁতার, যোগব্যায়াম ও অ্যারোবিক্স ক্লাসে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু ওজন বাড়ে। তিনি আরও বিষণ্ণ ও বিষন্ন হয়ে পড়েন। অবশেষে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা হলো।
আরও পড়ুনঃ বুবলীকে অপু বিশ্বাস, “গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল”
রুনা জানান,
প্রতিদিন সকালে দুটি ডিম খেয়ে ফল খেতেন তিনি। তারপর ব্ল্যাক কফি খেয়ে ঘণ্টাখানেক হাঁটতেন। তার মধ্যাহ্নভোজে থাকত এক কাপ ভাত, এক বাটি সবজি, মাংস বা মাছের বড় টুকরো। বিকেলে এক মুঠো বাদাম ও ব্ল্যাক কফি খেয়ে ঘণ্টাখানেক যোগব্যায়াম করতেন।
রাতে রুনা এক বাটি সবজি, এক টুকরো মাছ বা মুরগির মাংস আর এক গ্লাস দুধ খেতেন। রুনা জানান, দশ বছর আগে তার ওজন ছিল ৫৬ কেজি। তিনি ২০০৯ সালে বিয়ে করেন। পরের বছর কন্যা রাজেশ্বরী জন্মগ্রহণ করেন। তখন তার ওজন বেড়ে দাঁড়ায় ৯৫ কেজি।
এরপর রুনা শুরু করেন ‘মিশন ওয়েট লস’। দেখা যায় তার ওজন বেড়েছে ১০৫ কেজি। জিমে যোগদানের পাশাপাশি, বাড়িতে ওজন কমানোর সরঞ্জাম যেমন ট্রেডমিল এবং সাইকেল ইনস্টল করুন। তিনি ‘ডায়েট চার্ট’ অনুসরণ করতেন। তা সত্ত্বেও হাল ছাড়েননি রুনা।
রুনা বলেন,
‘ওজন কমানোর জন্য কাউকে অনুপ্রেরণা হিসেবে ভাবিনি। আমি নিজের জন্য এটা করেছি। গত এক বছরে বেশ কিছু নতুন বন্ধু তৈরি করেছেন বলে জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। তারা তার জীবনে সুখ এনেছিল। এটাও তার সুস্থতার অন্যতম কারণ।
Pingback: অরিজিতের কণ্ঠে পাকিস্তানি গান ঝড়ের গতিতে ভাইরাল