somoyerkhbor.com

অমির চোখে পলাশের জীবন তো সবে শুরু

পরিচালক কাজল আরেফিন অমির সহকারী ছিলেন জিয়াউল হক পলাশ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের দিকে অমি পলাশকে অভিনয়ে বাধ্য করতে শুরু করেন। পলাশ প্রথম থেকেই পরিচালক হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পরিচালক অমি সবসময় পলাশের মধ্যে ‘অন্য কিছু’ দেখতেন!

অমির একক নাটকে দুটি ধারাবাহিকে পলাশের অভিনয় দর্শকরা পছন্দ করতে থাকে। বিশেষ করে অমির ‘ট্যাটু’ নাটকে পলাশ প্রথম দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পরে অমি তার ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকে পলাশকে কাবিলার চরিত্রে অভিনয় শুরু করান।

সেই নাটকের মাধ্যমে পলাশ অভিনেতা হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পান। গত তিন বছরে এই নাটকে অভিনয়ের সুবাদে ছোট পর্দার এই সময়ের তারকা অভিনেতা হয়ে ওঠেন পলাশ।

সম্প্রতি পলাশ বিয়ে করেছেন। নববধূ পরিবারের পছন্দের। নাম নাফিসা রুম্মান মেহনাজ। পলাশের বিয়ের খবর ফ্যান পেজে পোস্ট করেছেন পরিচালক অমি। তিনি লিখেছেন, “ছেলেটি তার নতুন জীবনে প্রবেশ করেছে। তাদের জন্য অনেক দোয়া ও ভালোবাসা।

শুরুর দিকে কথা তুলে ধরে অমি লিখেছেন, পলাশ আমার সাথে সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেছে ২০১৬ সালের মার্চ বা এপ্রিল মাসে। সে খুবই পরিশ্রমী ও বাধ্য ছেলে। আমার বিভিন্ন কাজে (নাটক) পলাশকে নিয়ে দু-একটা সিকোয়েন্স করতাম। তিনি কখনোই অভিনয় করতে চাননি। বলতো অভিনয় করলে, আমি ডিরেকশনে মনোযোগী হতে পারি না। কিন্তু আমার কেন সবসময় মনে হতো পলাশকার সাথে আলাদা কিছু করা যায়? এজন্য আমি হাল ছাড়িনি। চেষ্টা করতে থাকলাম। পলাশের পরিশ্রম আর আপনাদের ভালোবাসার ফসল আজকের পলাশ ওরফে কাবিলা।

‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকের মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান পলাশ। প্রথম থেকেই পলাশকে রেখে লিখেছিলাম, পলাশকে নিয়ে রাস্তায় বের হলে মানুষ যখন হুমড়ি খেয়ে পড়ে বলে বুঝাতে পারবো না আমার কতটুকু ভালো লাগে। আমি চাই পলাশ জীবনে অনেক বড় হোক। আমার চোখে, তার জীবন সবে শুরু, তার এখনও অনেক পথ বাকি। পলাশকে শুধু আমাদের দেশেই নয়, সারা বিশ্বের জনপ্রিয় অভিনেতা হিসেবে দেখতে চাই।

দোয়া জানিয়ে সবশেষে অমি লিখেছেন, পলাশ ও আমাদের লক্ষ্মী নাফিসা তাদের পরিবার ও আমাদের সবার সম্মতিতে ঘরোয়া পরিবেশে বিয়ে সম্পন্ন করেছে। সবাই পলাশ ও নাফিসার নতুন জীবনের জন্য দোয়া করবেন।

Exit mobile version