হিন্দি ছবি পাঠান দেশে না এনে আমাকে দিয়ে পাঠান তৈরি করুন: জায়েদ খান

দেশের হলে হিন্দি ছবি না এনে দেশের নায়কদের নিয়ে ‘পাঠান’-এর মতো ছবি নির্মাণের জন্য প্রযোজক ও সিনেমা প্রদর্শকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন চিত্রগ্রাহক জায়েদ খান। বললেন, পাঠানকে এ দেশে আনার কী দরকার? পাঠানকে না পাঠিয়ে আমাকে বা আমাদের পাঠানোর মতো করে দিন। আমাদের সাথে বলিউডের সিনেমার মতো সিনেমা বানাও।’

বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২১ বিতরণ অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার আগে জায়েদ খান রিহার্সালে অংশ নিয়ে একথা বলেন।

দেশে ‘পাঠান’ বা হিন্দি ছবি মুক্তি পেলে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প নেপালের মতো হবে বলে মন্তব্য করেছেন জায়েদ খান। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘এক কোটি রুপি বাজেটের সিনেমা কখনোই ১০০ কোটির সঙ্গে পাল্লা দিতে পারবে না’।

জায়েদ খান জানান, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে তিনি ‘পিছ ধল্লা পথ নাও সহবে চে’ গানে একক নাচবেন।

রিহার্সালের সময় জায়েদ খান বাংলাদেশে হিন্দি ছবি মুক্তির বিষয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশের জন্য আমি শুরু থেকেই হিন্দি ছবির বিপক্ষে। আমি সবসময় চাইব হিন্দি ছবি এখানে না আসুক।’

জায়েদ বলেন, ‘গত ১৬ দিন ধরে কাজের জন্য মুম্বাইয়ে ছিলাম। সেখানে কয়েকদিনের মধ্যে হিন্দি শিখেছি। আমাদের হলে হিন্দি ছবি চললে শিশুরা হিন্দি ভাষা শিখবে। বাঙালি সংস্কৃতি ভুলে যেতে শুরু করবে। যে ভাষার জন্য রক্ত দেওয়া হয়েছে, যুদ্ধ হয়েছে, সেই ভাষা হারিয়ে যাবে। হিন্দি ছবি না এনে তিনি আমাকে বানিয়েছেন।’

তিনি মনে করেন, “শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হিন্দি ছবি বাংলাদেশে এলে ধ্বংস হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘পাঠান’ এলে ‘ওরা সাতজান’ হিসেবে মুক্তি পাওয়া সিনেমার কী অবস্থা হবে? আপনি কি পেয়েছেন?আর আমাদের দেশে যে গোটাউনগুলোকে হল বলা হয় সেগুলো ঠিক করে ভালো পরিবেশ দিতে হবে, দেখবেন দর্শকরা বাংলা ছবি দেখতে আসবে।এক পাঠানকে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে লাভ নেই।সবগুলো নয়। ফিল্ম হিট। শেহজাদা, সেলফি সবই ফ্লপ হয়েছে।”

মুম্বাই যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে জায়েদ খান হাসিমুখে বলেন, ‘সেটা শিগগিরই জানা যাবে। কয়েকদিন পর আবার যাবো। কিন্তু আমি গিয়ে অনেক কেনাকাটা করলাম। যতদিন আমি বিয়ে না করি ততদিন আমি তরুণ। আপনি যদি ব্যাচেলর হন তবে আপনাকে পরিবার পরিচালনা করতে হবে। তাই নিজেকে ফ্যাশন সচেতন করুন। এছাড়া পরিবার শুরু করার জন্য যে মানসিক প্রস্তুতির প্রয়োজন ছিল তা আমার ছিল না। কবে মানসিকভাবে প্রস্তুত হব তা সময়ই বলে দেবে।’

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top