কবি – রুমা তাহেরা
গাছের পাতার ফাঁকে এলো ভোর,
বিশ্ব জয়ের প্রত্যয়ে ছুটলো বাতাসের দৌড়।
পাতায় পাতায়,ডগায়,ফুলে শিশির বিন্দু এঁকে,
পূবের সূর্য বিন্দুগুলোয় রংধনু দিলো মেখে।
শিশির জলে ধুয়ে বাড়ে আরো সবুজের রেশ,
ধরিত্রীতে সতেজ হয়ে জাগে একটি সবুজ দেশ।
গোলাপ ফুল পাপড়ি মেলে হয়ে একজোট,
সব ফুলেতে এঁকে দিলো সবুজ রাণীর ঠোঁট।
কৃষ্ণচূড়া উপর থেকে টিপ দিয়ে দিলো কপালে,
রুপের রাণী উঠলো জেগে সব সবুজের করতালে।
গাঁদাফুল সব এক হয়ে হলো হলুদ উজালা,
বিনা সুতোয় গেঁথে হলো রাণীর গলার মালা।
ডালিয়া ফুলটি কোথা হতে উড়ে এসে বসে,
রাণীর মাথায় রইলো সে টিকলি হয়ে মিশে।
দুটো ঝুমকো জবা ছুটে এসে বসে সাবধানে,
দুলটি হয়ে রইলো পড়ে রাণীর দুটি কানে।
সুবাস ছড়িয়ে এসে বকুল নাক ফুলটি হয়,
শিশির বিন্দু নাকের নোলক হয়ে ঝুলে রয়।
গন্ধরাজ আর রজনীগন্ধা বসে রাণীর চুলে,
খোপাটি তার খুব যে সুন্দর সাজিয়ে তোলে।
শিউলি ফুল কমলা সাদায় চুড়ি যে হয় হাতে,
ঘাস ফুলেরা লাল রঙে দেয় আলতা পায়েতে।
এবার রাণী গায়ে দিয়ে কলা পাতার শাড়ি,
লাল শাপলার আঁচল খানি ছড়িয়ে দেয় তারি।
শাড়ির উপর আরো কত ফুলের কারুকাজ আনি,
খুব যে সুন্দর সেজে আছে মোদের সবুজ রাণী।