মা গরু ও গাভীর দৈনন্দিন পরিচর্যার নিয়ম

1. গরুর লাইভ ওয়েট অনুযায়ী খাদ্য দিতে হবে।

2. পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

3. গরুকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে।

4. প্রতিদিন সঠিক সময়ে খাবার দিতে হবে

5. মলমূত্র ও প্রস্রাব নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। গরুর খামারের গোবর ও মূত্র প্রতিদিন ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়াও গরুর খামার সংলগ্ন ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। প্রতিদিন এভাবে গরুর খামার পরিষ্কার করলে খামার জীবাণুমুক্ত হবে এবং গরুর রোগবালাই কমবে।

6. গোয়াল ঘর সংলগ্ন ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।

7. খাবার পরিবেশনের আগে খাবারের পাত্র পরিষ্কার করতে হবে।

8. খাদ্য সংরক্ষণের ঘর পরিষ্কার করা উচিত।

আরও পড়ুনঃ নারকেল তেলের ৫ আশ্চর্য উপকারিতা

9. শুকনো আঁশযুক্ত খাবার সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত করা উচিত অর্থাৎ ছোট ছোট টুকরো করে কেটে পরিবেশন করা উচিত।

10. দানাদার খাবার সঠিকভাবে ভাঙ্গা উচিত।

11. ভেজালহীন খাবার পরিবেশন করা উচিত। খামারের গরুকে সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত শুকনো ফাইবার ফিড খাওয়াতে হবে, যেমন ছোট ছোট টুকরো করে কাটা। আর দানাদার খাবার দিলে তা ভালোভাবে ভেঙে তারপর দিতে হবে।

12. ২-৪ মাস পর গরু কৃমিতে আক্রান্ত কিনা তা পশু চিকিৎসকের সাহায্যে পরীক্ষা করে দেখতে হবে। প্রয়োজনে খামারে কৃমিনাশক ব্যবহার করতে হবে।

13. রোগের বিরুদ্ধে নিয়মিত টিকা প্রয়োগ করতে হবে।

14. গরুর চিকিৎসায় অবহেলা করা উচিত নয়। খামারের গরুর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। খামারের গরুর শরীরের তাপমাত্রা খুব বেশি বা খুব কম কিনা তা পরীক্ষা করা উচিত। খামারের গরু কোনো কারণে অসুস্থ হলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।

15. গরম আবহাওয়ায় গরুর জন্য একটি পাখা দেওয়া যেতে পারে। গরুর খামারে নিয়মিত আলো-বাতাস চলাচলের জন্য খামারের চারপাশের বন্ধ জায়গাগুলো প্রতিদিন বাতাস ও আলোর জন্য খুলে দিতে হবে। তারা রাতে আবার বন্ধ করা উচিত.

16. গরু পরিষ্কার ও শুকনো রাখতে হবে। খামারের গোবর ও প্রস্রাব ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়াও গরুর খামার সংলগ্ন ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। প্রতিদিন এভাবে গরুর খামার পরিষ্কার করলে খামার জীবাণুমুক্ত হবে এবং গরুর রোগবালাই কমবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top