গ্রীষ্মে বিভিন্ন ফল ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। এর প্রধান কারণ হল অধিকাংশ ফল ও সবজিতে প্রচুর পানি থাকে। এগুলো খেলে শরীরে আর্দ্রতা বজায় থাকে, হঠাৎ করে পানির অভাব হয় না। শসা এমন একটি সবজি যাতে প্রায় ৯৫ শতাংশ পানি থাকে। রোজায় শসা খেলে শরীরে অনেক উপকার হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ডিহাইড্রেশন দূর করে
রোজার সময় পানিশূন্যতা স্বাভাবিক। তাই প্রতিদিন ইফতারে পর্যাপ্ত পরিমাণে শসা খান। এতে শরীরে পানির ঘাটতি অনেকাংশে পূরণ হবে। এতে সারাদিনের ক্লান্তি কমে যাবে। শরীর সতেজ ও শক্তিশালী হবে। ত্বকের অনেক সমস্যাও দূর হবে।
তাপ শোষণ করে
শরীরের ভিতরে ও বাইরে তীব্র তাপ অনুভব করলে শসা খেতে পারেন। কারণ এই গরমে শরীরে জ্বালাপোড়া হতে পারে। শসা এই জ্বালা দূর করতে পারে। এছাড়াও রোদের কারণে ত্বকে জ্বালা অনুভব করলে একটি শসা কেটে ত্বকে ঘষে নিতে পারেন। এতে আপনি উপকৃত হবেন।
আরও পড়ুনঃ লেবু-পানির যত উপকারিতা।
দূষিত পদার্থ দূর করে
শসার পানি আমাদের শরীর থেকে দূষিত পদার্থ এবং টক্সিন দূর করে। ফলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দূর হয়। নিয়মিত শসা খেতে পারলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ভয় থাকবে না। কারো কিডনিতে পাথর থাকলে তাও সহজে গলে যায়।
ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে
আমাদের শরীরের যে ভিটামিনের প্রয়োজন তার বেশিরভাগই শসায় রয়েছে। এতে থাকা A, B এবং C রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গাজর, সবুজ শাকসবজি এবং শসার রস মিশিয়ে খেলে বিভিন্ন ভিটামিনের অভাব পূরণ হবে।
ওজন কমাতে কাজ করে
শসা বেশিরভাগ জল এবং ক্যালোরি কম। তাই এই সবজিটি ওজন কমাতে বিশেষভাবে সহায়ক হতে পারে। স্যুপ, সালাদ ইত্যাদিতে শসা খেতে পারেন। কাঁচা শসা চিবিয়ে খেলে হজমশক্তি ভালো হয়। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হয়।
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়
অনেকে তাদের সৌন্দর্যের রুটিনের অংশ হিসেবে শসা কেটে চোখের পাতায় রাখে। এতে করে চোখের পাতায় জমে থাকা ময়লা দূর হয়, দৃষ্টিশক্তিও বৃদ্ধি পায়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে চোখের প্রদাহরোধী উপাদান, যার কারণে চোখে ছানি পড়ে না।