আমাদের চারিপাশে আমরা দু গঠনের মানুষ সচারচর দেখতে পাই, ১। মোটা, ২। চিকন।
মোটা মানুষের পেটে মেদ জমলে তাদের তেমন একটা দুঃখ হয় না কিন্তু একটা চিকন মানুষের পেটে মেদ জমলে তখনই তৈরি হয় সমস্যা। সারা শরীর টিঙটিঙে নেই মাংশ কিন্তু পেটের কাছে পোটলার মতো মেদ। পেটে অতিরিক্ত ফ্যাট জমার স্পষ্ট কতগুলো কারণ আছে। যা আপনার দৈনিন্দন কাজে, খাওয়াদাওয়ায় পেট বেড়ে উঠছে। এজন্য পেটে মেট জমা নিয়ে আক্ষেপ কিংবা মন খারাপ না করে নজর দিন সেই কারণগুলোর দিকে।
দৈনিন্দন ডায়েটকন্ট্রোল আর এক্সারসাইজ থেকে যেই সমস্ত নিয়মকানুন দেয়া আছে তা মেনে চললে ওজন কমাতে শুরু করবে অল্প বিছুদিনে। সেই সঙ্গে আপনার পেটের ফ্যাটও কমবে। যারা চিকন গঠনের শরীরের পরও নানান অনিয়মে পেটে চর্বির স্তর জমিয়ে ফেলেছেন, তারাও ডায়েটিং আর ব্যায়ামের মতো বিষয়গুলোকে সিরিয়াসভাবে নিন। তা না হলে সমস্যা দিন দিন বাড়বে।
1. ট্রান্স ফ্যাট: আপনার পেটের মেদ বৃদ্ধির একটি কারণ হলো দৈনিন্দন খাদ্য তালিকায়র যা খাচ্ছেন, সেই খাদ্যের মধ্যে বেশি পরিমানে রয়েছে ট্রান্স ফ্যাট। ট্রান্স ফ্যাট মানে, দোকানের/বাহিরের প্যাকেটে চিড়াভাজা, মাফিন, চিপস, বেকড খাবার- সবকিছুর মধ্যেই থাকে অতিরিক্ত ট্রান্স ফ্যাট। এবং বিস্কুট আর কুকিজেও থাকে ট্রান্স ফ্যাট।
*-/ সুস্থ-সবল থাকা এবং ট্রান্স ফ্যাট থেকে মুক্তির জন্য আপনাকে দৈনিন্দন খাদ্যাতালিকায় অতিরিক্ত প্রসেসড চিজ ইত্যাদি থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে।
2. খাবারে অতিরিক্ত চিনি: প্রতিদিন মিষ্টি জাতীয়দ্রব্য না খেলেও আপনার খাদ্যতালিকায় রয়েছে বড়সড় সমস্যা। আপনাকে সুস্থ থাকার জন্য অবশ্যই নিজ দায়িত্বে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে হবে কোথায় আছে সমস্যা। প্রতিদিন বাইরে গেলে ফ্রুট জুস বন্ধদের সঙ্গে আড্ডায় বসলে একটা খাওয়া হয়ে যায় ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত, বাসায় বা বাহিরে অসময়ে ক্ষুধা পেলেই বিস্কুটের দিকে হাত বাড়ালে, মুড়ি নিয়ে বসলে সঙ্গে একটু চানাচুর মিশিয়ে খেতে ইচ্ছে করে, দৈনিন্দন সকালের নাস্তায় প্রসেসড কর্ন বা হুইট ফ্লেক্স অনেকই খেয়ে থাকে, সেসব খাওয়ার অভ্যাস থাকলে বন্ধ করতে হবে। মনে রাখতে হবে আপনার খাদ্যতালিকার অতিরিক্ত চিনিই সব সমস্যার কারণ।
3. যথেষ্ট প্রোটিন ও ফাইবার না থাকা: আপনি আমিষ খান বা নিরামিষ, প্রোটিনের পরিমাণে ঘাটতি হওয়ার কোনো কারণ নেই। নিরামিষভোজীরা বেশি করে ডাল, ছানা, সোয়াবিন ইত্যাদি খান। যারা আমিষ পছন্দ করেন, তারা মাছ, ডিম, চিকেনের উপর আস্থা রাখুন। প্রোটিন আপনার পেট ভরিয়ে রাখবে বেশিক্ষণ, অল্পতেই ক্ষুধা পাবে না। সেইসঙ্গে বাড়াতে হবে ফল-শাকসবজি খাওয়া। তাতে যথেষ্ট ফাইবার মিলবে।
4. পাচনতন্ত্রে অপকারি ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বেশি: আপনার পাচনতন্ত্রে, বিশেষ করে কোলনে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া থাকে, তার পোশাকি নাম হচ্ছে ‘গাট ফ্লোরা’ বা ‘মাইক্রোবায়োম’। পাচনতন্ত্রে উপকারি ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বেশি না হলে পেটে মেদ জমতে পারে। খাদ্যতালিকায় প্রোবায়োটিকের পরিমাণ বাড়িয়ে ও সুষম খাবার খেলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।
How to use lemon juice to get rid of acne?
5. ঘুম কম হওয়া: একজন মানুষকে সস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে হলে অবশ্যই রাতে অন্তত ছয়-সাত ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে, এর চেয়ে চেয়ে কম বিশ্রাম পেলে কিন্তু পেটে মেদ জমতে বাধ্য। রোজ একটি নির্দিষ্ট সময় ঘুমোতে যাওয়া ও ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস তৈরি করুন।