গাড়ির নাম্বার প্লেট ও কোন বর্ণ দ্বারা কী বুঝায় জেনে নিন

আপনার যদি একটি গাড়ি থাকে, তাহলে নিশ্চিতভাবে সেই গাড়ির সামনে ও পিছনে নাম্বারপ্লেট লাগানো আছে। আর গাড়ি যদি নাও থাকে তারপরও যাতায়াতের জন্য প্রতিদিন উঠতে হয় গাড়িতে, সেই গাড়ির সামনে পেছনে অবশ্যই দেখেছেন নাম্বার প্লেট বিভিন্ন বর্ণসহ।

নাম্বার প্লেট লেখার ফরম্যাট:

গাড়ির আয়তন সহকারে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিআরটিএ গাড়ির নাম্বার নির্ধারণ করে জন্য। যার জন্য রয়েছে একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাট।
ফরম্যাটটি হল-

রেজিস্ট্রেশন করা শহরের নাম – গাড়ির সার্বিক গঠন – গাড়ির সিরিয়াল নাম্বার।

উপরের এই তিনটি ফরম্যাট এর মাঝে যে অংশে গাড়ির সার্বিক গঠনকে বুঝানোনো হয় ওই অংশটুকু বিআরটিএ কর্তৃক বাংলা বর্ণগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

তাহলে জেনে নেয়া যাক গাড়ির নাম্বার প্লেটের ১৯ টি ক্যাটাগরি সম্বন্ধে-

ক ক্যাটাগরি–

ক ক্যাটাগরি ধরা হয় প্রাইভেটকারের ক্ষেত্রে, প্রথম বাংলা ব্যাঞ্জন বর্ণটি ৮০০ সিসি’র প্রাইভেট কারের নাম্বারপ্লেটে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

খ ক্যাটাগরি–

‘খ’ ক্যাটাগরিও ধরা হয় প্রাইভেটকারের ক্ষেত্রে, ২য় বাংলা ব্যাঞ্জন বর্ণটি ১০০১ থেকে ১৩০০ সিসি’র প্রাইভেট কারের নাম্বারপ্লেটে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

গ ক্যাটাগরি –

‘গ’ ক্যাটাগরিও ধরা হয় প্রাইভেটকারের ক্ষেত্রে, ৩য় বাংলা ব্যাঞ্জন বর্ণটি ১৫০০ থেকে ১৮০০ সিসি’র প্রাইভেট কারের নাম্বারপ্লেটে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ঘ ক্যাটাগরি –

‘ঘ’ ক্যাটাগরি ধরা হয় জীপগাড়ি ক্ষেত্রে, চতুর্থ বাংলা ব্যাঞ্জন বর্ণটি জীপগাড়ির ক্যাটাগরি নির্ধারণের জন্য ‘ঘ’ নাম্বারপ্লেটটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

চ ক্যাটাগরি –

‘চ’ ক্যাটাগরি ধরা হয় মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে, বাংলা ব্যাঞ্জন বর্ণটি মাইক্রোবাস ক্যাটাগরি নির্ধারণের জন্য ‘চ’ নাম্বারপ্লেটটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ছ ক্যাটাগরি –

কিছু কিছু মাইক্রোবাস আছে যেগুলো ভাড়ায় চলে। এই ভাড়ায় চলা মাইক্রোবাস গুলোর নাম্বার প্লেটে ‘ছ’ থাকে। মাইক্রোবাস এর সঙ্গে যে লেগুনা ভাড়ায় চালিক সেগুলোর জন্যও এই বর্ণটি নির্ধারিত।

জ ক্যাটাগরি –

আমরা রাস্তায় চলতে দুই ধরণের বাস দেখি, বড় বাস আর মিনিবাস। জ ক্যাটাগরি মিনিবাসগুলোকে বুঝানোর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ঝ ক্যাটাগরি –

আমরা রাস্তায় চলতে দুই ধরণের বাস দেখি, বড় বাস আর মিনিবাস। বড় বাস বা কোস্টার বাস যেগুলা আছে সেগুলোকে বুঝাতে ‘ঝ’ বর্ণটি ব্যবহার করা হয়।

ট ক্যাটাগরি –

ট্রাক কয়েক ধরণের রাস্তায় চলে। যদি চলার পথে বড় ট্রাক দেখেন তাহলে নাম্বার প্লেট দেখবেন, গাড়ির নাম্বার প্লেট হবে ‘ট’

ঠ ক্যাটাগরি –

যদি দেখেন নাম্বার প্লেটে ‘ঠ’ আছে তাহলে বুঝবেন গাড়ির নাম্বার প্লেটটি কোন ডাবল কেবিন পিক-আপ এর নাম্বার প্লেট।

ড ক্যাটাগরি –

রাস্তায় হরহামাসাই দেখতে পাওয়া যায় মাঝারি ট্রাক, যা আমাদের দৈনিন্দন মালামাল আনা নেয়ার কাজেও ব্যবহার করে থাকি। মাঝারি ট্রাকের নাম্বার প্লেট দেখবেন ট্রাকে ব্যবহার করা হয়েছে ‘ড’ বর্ণটি।

ন ক্যাটাগরি –

ছোট পিক আপ’কে ‘ন’ বর্ণ বোঝানো হয়।

প ক্যাটাগরি –

প ক্যাটাগরি বরাবরই ট্যাক্সি ক্যাবের জন্য নির্ধারিত। ট্যাক্সি ক্যাবগুলোর সামনে পেছনে লক্ষ করলে নাম্বার প্লেটে ‘প’ বর্ণটি চোখে পরবে।

ভ ক্যাটাগরি –

প্রাইভেটকার ২০০০+ সি সি হলে সেটা বুঝাতে ‘ভ’ বর্ণ ব্যবহার করে গাড়ির নাম্বার প্লেট করা হয়।

ম ক্যাটাগরি –

আমাদের দৈনিন্দন পণ্য সামগ্রী পরিবহন এবং আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী ডেলিভারির জন্য ব্যবহৃত হয় পিক-আপ।
এই পিক আপকে ‘ম’ বর্ণটি দ্বারা বোঝায়।

দ ক্যাটাগরি –

বিভাগীয় শহড়ে বেশির ভাগ দেখা যায় প্রাইভেট বা নিজস্ব পরিবহনের জন্য সিএনজি ব্যাবহার হয়। সেসব প্রাইভেট অথবা নিজস্ব সিএনজির নাম্বার প্লেটটিতে ‘দ’ বর্ণটি ব্যবহার করা হয়।

থ ক্যাটাগরি –

যে সিএনজি গুলো ভাড়ায় চলে সেগুলোকে নাম্বার দ্বারা বোঝাতে ‘থ’ বর্ণ ব্যবহার করা হয়।

হ ক্যাটাগরি –

পথ চলতে মোটরবাইকের ভূমিকা অপরিসীম, বাইক বিভিন্ন সিসির হয়ে থাকে। ৮০-১২৫ সিসি’র মোটরবাইক’কে বোঝাতে নাম্বারপ্লেটে ‘হ’ বর্ণ ব্যবহৃত করা হয়।

ল ক্যাটাগরি –

রাস্তায় চলার পথে আমাদের নিত্ব দিনের সঙ্গি মোটরবাইক, যে সকল মোটরবাইক ১৩৫-২০০ সিসি’র হয় তাহলে সেই বাইকের নাম্বারপ্লেটে ‘ল’ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।

ই ক্যাটাগরি –

গ্রামগঞ্জে ইট বালু বা অন্যকিছু পরিবহণের জনন্য ভটভটি টাইপের ট্রাক ব্যাবহৃত হয়। এগুলার নাম্বারপ্লেট ‘ই’ বর্ণটি দিয়ে চিহ্নিত করা হয়।

য ক্যাটাগরি –

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে যে সকল গাড়ি ব্যাবহৃত হয়ে থাকে শুধু মাত্র ওই গাড়িগুলো অন্য সব নাম্বার প্লেট থেকে আলাদা করতে নাম্বার প্লেটে ‘য’ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *