রোগীদের হাত থেকে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) টেনে নিয়ে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের ছবি তোলার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হবিগঞ্জের স্বাস্থ্য প্রশাসন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে চিঠি পাঠিয়েছেন জেলাটির সিভিল সার্জন মোহাম্মদ নূরুল হক।
রোগীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার (২৯ মে) তিনি এই চিঠি ইস্যু করেন। বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যালস রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যাসোসিয়েশন (ফারিয়া) হবিগঞ্জের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে ডেকে এনেও তিনি নিষেধের বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালসহ বেসরকারি ক্লিনিক ও চিকিৎসকদের চেম্বারের সামনে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকেন। রোগীরা চেম্বার থেকে বের হলেই তাঁরা চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রটি টেনে নিয়ে ছবি তুলতে থাকেন। একেকজন রোগীর ব্যবস্থাপত্র নেওয়ার জন্য ৫ থেকে ১০ জন প্রতিনিধি টানাটানি শুরু করেন। অনেক মুমূর্ষু রোগী এতে আরও অসুস্থ হয়ে যান। এ নিয়ে রোগীর স্বজন ও ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির মধ্যে ঝগড়াও হয়।
এই সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবস্থা নিতে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) চিঠি দেওয়া হয়েছে। ফারিয়ার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককেও ডেকে এনে বারণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আমিনুল ইসলাম বলেন, তিনি ও সিভিল সার্জন একই ব্যাপারে দুইটি চিঠি ইস্যু করেছেন। রোগীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ব্যবস্থাপত্র টানাটানি বন্ধ করতে এখন থেকে নিয়মিত তদারকি করা হবে।