somoyerkhbor.com

বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুন্সী আব্দুর রউফের শহীদ হওয়ার তারিখ ও স্থান নিয়ে বহু জায়গায় বিভ্রান্তিকর তথ্য রয়েছে। সরকারি–বেসরকারি নানা স্থানে সে তারিখ কোথাও ৮, কোথাও ১৮ এপ্রিল (১৯৪৩ – এপ্রিল ৮, ১৯৭১)। যুদ্ধে মুন্সী আব্দুর রউফের অসামান্য বীরত্বের জন্য বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

সংক্ষিপ্ত জীবনী

ফরিদপুর জেলার বোয়ালখালী উপজেলার সালামতপুর গ্রামে মুন্সি আব্দুর রউফ ১৯৪৩ সালের মে মাসে জন্মগ্রহণ করেন। মুন্সী মেহেদী হোসেন তাঁর পিতার নাম এবং মকিদুন্নেসা মাতার নাম।
কিশোর বয়সে মুন্সী আব্দুর রউফের পিতা মারা যান। ফলে তিনি উচচশিক্ষা লাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। তিনি অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন। ১৯৬৩-র ৮ মে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস-এ ভর্তি হন। তাঁর রেজিষ্ট্রেশন নম্বর ১৩১৮৭। ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরুতে চট্টগ্রামে ১১ নম্বর উইং এ কর্মরত ছিলেন। সে সময় তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সঙ্গে স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগদান করেন।

যেভাবে শহীদ হলেন

পার্বত্য চট্টগ্রামে রাঙ্গামাটি-মহালছড়ি জলপথ প্রতিরোধ করার জন্য ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি কোম্পনীর সাথে বুড়িঘাটে অবস্থান নেন ৮ এপ্রিল।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কমান্ডো ব্যাটেলিয়নের দুই কোম্পানী সৈন্য, সাতটি স্পীড বোট এবং দুটি লঞ্চে করে বুড়িঘাট দখলের জন্য অগ্রসর হয়। তারা প্রতিরক্ষি বূহ্যের সামনে এসে ৩” মর্টার এবং অন্যান্য ভারী অস্ত্র দিয়ে হঠাৎ অবিরাম গোলা বর্ষন শুরু করে।

see more Best Hospital list in Singapore

গোলাবৃষ্টির তীব্রতায় প্রতিরক্ষার সৈন্যরা পেছনে সরে বাধ্য হয়। কিন্তু ল্যান্সনায়ক আব্দুর রউফ পেছনে হটতে অস্বীকৃতি জানান। নিজ পরিখা থেকে মেশিনগানের গুলিবর্ষণ শুরু করেন। শত্রুদের স্পীড বোট গুলো ডুবে যায় মেশিনগানের এই পাল্টা আক্রমনের ফলে । স্পীড বোট এর আরোহীরা হতাহত হয়।

দ্রুত পেছনে গিয়ে পেছনের দুটো লঞ্চ নিরাপদ দুরত্বে অবস্থান নেয়। পেছনের দুটো লঞ্চ থেকে শুরু করে দুরপাল্লার ভারী গোলাবর্ষণ। আব্দুর রউফের উপর মর্টারের ভারী গোলা এসে পরে । লুটিয়ে পড়েন আব্দুর রউফ, নীরব হয়ে যায় তাঁর মেশিনগান। ততক্ষণে নিরাপদ দূরুত্বে সরে যেতে সক্ষম হন তাঁর সহযোদ্ধারা।

see more হাজী শরীয়তুল্লাহ : সমাজ সংস্কারক ও সংগঠক

শহীদ ল্যান্স নায়েক বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের সমাধি পার্বত্য জেলা রাঙামাটির নানিয়ার চড়ে। তাঁর অপরিসীম বীরত্ব,সাহসীকতা ও দেশপ্রেমের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে সর্ব্বোচ সম্মান বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত করে।

বীর শ্রেষ্ঠ পদক

* মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর
* হামিদুর রহমান
* মোস্তফা কামাল
* রুহুল আমিন
* মতিউর রহমান
* মুন্সি আব্দুর রউফ
* নূর মোহাম্মদ শেখ

Exit mobile version