প্রকৌশল বিদ্যা যাকে ইংরেজিতে বলে Engineering. Engineer শব্দটির Full from হলো;
E= enthusiastic(উদ্যমী) N= naughty(দুষ্টু)
G =great sense of humour(হাস্যরস দুর্দান্ত বোধ) I= intelligent(বুদ্ধিমান) N= not normal(স্বাভাবিক না) E= entertaining(বিনোদনমূলক) E= efficient(দক্ষ)
R =national realistic and romantic(জাতীয় বাস্তববাদী এবং রোমান্টিক)
সকল পেশার ই অবদান আছে কিন্তু প্রকৌশলীদের অবদান অনেক বেশি। প্রকৌশল ডিগ্ৰি সাধারনত ২ ধরনের হয়ে থাকে।
1.ডিপ্লোমা 2.বি,এস,সি
ডিপ্লোমা হল কারিগরী এখানে এস,এস,সি পাশ করার পর ভর্তি হতে হয় ৪ বছরের কোর্স।৪ বছর পর উপসহকারী প্রকৌশলী হিসেবে সরকারি বে সরকারি চাকরি করা যায়। আমাদের দেশের সরকারি বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট গুলো কারিগরী শিক্ষা বোর্ডর অধীনে এই ডিগ্ৰী দিয়ে থাকে।
বি,এস,সি তে এইচ,এস,সি পাশ করার পর ভর্তি হতে হয়।এটি ও ৪ বছরের কোর্স। কয়েকটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এ ডিগ্ৰ দিয়ে থাকে। বুয়েট,চুয়েট সহ আরো অনেক বিশ্ববিদ্যালয়। বেসরকারি আরও অনেকে বিশ্ববিদ্যালয় ও আছে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে,ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা ডিপ্লোমা শেষ করে বি, এস, সি করতে পারে কিন্তু বি, এস, সি
ইঞ্জিনিয়াররা ডিপ্লোমা করতে পারে না।ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বি, এস, সি করার জন্য বাংলাদেশে একটি মাত্র প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় আছে সেটা হল ডুয়েট।
প্রকৌশল বিদ্যার বিভিন্ন শাখা আছে।যেমন,
১/Electrical Engineering
২/Mechanical Engineering
৩/Civil Engineering
৪/Electronic Engineering
এ ছাড়াও আরো অনেক শাখা রয়েছে।এ গুলোর মতো একটি শাখা হচ্ছে Mechatronics Engineering.Mechatronics এর নাম মানুষ অনেক কমই শুনেছে কিন্তু এটি প্রকৌশল বিদ্যার একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ শাখা।
Mechanics Technology র সাথে পরিচিত :
Mechatronics শব্দটি Mechanical এর Mecha এবং Electronics এর tronic শব্দটি নিয়ে গঠিত। শুধু Mechanical এবং Electronics ই নয় এর মধ্যে রয়েছে Computer, Automation সহ আরো অনেক কিছু।বলা যেতে পারে Mechatronics হল সেই এরিয়া যেখানে Science Fiction বাস্তব রূপ লাভ করে।
উইকিপিডিয়া অনুসারে, Mechanics is multidisciplinary field of science that includes a combination of mechanical engineering, electronics engineering, telecommunications engineering, system engineering and control engineering.
Mechanics এর আবিষ্কার :
পৃথিবীতে Mechatronics Technology র আবিষ্কার প্রথমে করে জাপান। জাপানের প্রকৌশল Tetsuro Mori 1969 সালে Mechatronics সম্পর্কে ধারণা দেন।এবং 1971 সালে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়।Tetsuro Mori ইয়াস্কাওয়া ইলেকট্রনিক্স কপোরেশনের প্রকৌশলী ছিলেন। Mechatronics শব্দটি জাপানের ট্রেড মার্ক হিসেবে 46-327-14 নাম্বার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেছিল।
পরে আস্তে আস্তে সারা বিশ্বে গ্ৰহনযোগ্যতা পায়।
Mechanics Technology তে যে গুলো পড়ানো হয়;
1.Mechanical Engineering
2.Electrical and Electronic Engineering
3.control System
4.Computer science and engineering
5.PLC, Robotics, Microcontroller
6.CAD and CAM
এ ছাড়াও আরো অনেক বিষয় পড়ানো হয়।এখান থেকে বোঝা যায় Mechatronics এর ছাএরা কত কিছু জানে।এক কথায় Mechatronics এর ছাএরা সকল টেকনোলজির বেসিক জানে কম বেশি।
Mechatronics Applications:
প্রযুক্তি উদ্ভাবনের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে Mechatronics একটি একক এবং সাধারণ সঙ্গা নির্ধারণ করা খুব কঠিন তবে সম্প্রতি প্রাথমিক Mechatronics এর ধারনা যে কোন Engineering Application এর জন্য একটি মৌলিক সরঞ্জাম হিসেবে বিবেচিত হয়।উচ্চ স্তরে Mechatronics Application গুলো বাজার, গবেষণা এবং ম্যানেজমেন্ট ক্রয়াকলাপ গুলো নিন্মলিখিত ডোমেন গুলোর মধ্যে আবদ্ধ হতে পারে;
Robotics
Aerospace Technology
Biomedical
Automotive Systems
Motion Control Technology
Intelligent Control
Actuators and Sensors
Modeling and Design
System Integration
Manufacturing
Vibrations and Noise Control
Micro Devices and Optoelectronics
and many more.
Mechatronics এর বিশ্বে পরিচিত:
Mechatronics সকল Engineering বিষয়ের রাজা। Mechatronics Technology র ছাএরা Mechanical এর কাজ জানে। Electrical, Electronics,Power, Computer সহ আরো অনেক Technology র কাজ জানে। Mechatronics Engineering সকল Engineering এর কাঁচা মাল বলা যেতে পারে। Mechatronics Technology 1969 এ জাপানে এবং 1971 এর পর সারা বিশ্বে পরিচিতি পায়।1971 এর পর পৃথিবীর উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, পলিটেকনিকে Mechatronics চালু করে।তারা Mechatronics এর গুরুত্ব বুঝতে পারে। পরবর্তীতে গুরুত্ব বুঝতে পেরে প্রায় 1791 সালের পরে বর্তমান পর্যন্ত এখন প্রায় বিশ্বের সকল দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, পলিটেকনিকে Mechatronics Technology র ওপর Diploma বা Bachelor ডিগ্ৰ চালু আছে। অনেক দেশে ২ টি চালু আছে। অনেক দেশে আর ও উচ্চ ডিগ্ৰ Master’s,PHD program চালু আছে। বর্তমানে যু্গ আধুনিক যুগ।এই আধুনিক যুগে সবকিছু আধুনিক।এই আধুনিক কারখানায় কাজ করতে অবশ্যই Mechatronics Enginner প্রয়োজন।
বাংলাদেশ Mechatronics;
বাংলাদেশ Mechatronics;
হয়তো বাংলাদেশ অনেক Mechatronics এর নাম শুনে নাই। বাংলাদেশর অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় Mechatronics Engineer দরকার কিন্তু সেখানে অন্য Engineer রা কাজ করছে।মেকাট্রনিক্স বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসোসিয়েট প্রফেসরের চমৎকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
প্রযুক্তি ও প্রকৌশল
বিষয়ে করছেন বিস্তর কাজ। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন ও পরমাণু গবেষণা চুল্লিতে ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে 2003 সালে কাজ শুরু করেন এই শিক্ষক। নিজ গবেষণা পত্রের জন্য 2003 সালে আইইবি ও 2009 সালে বাংলাদেশ ফিজিক্যাল সোসাইটি কর্তৃক বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড লাভ
করেন। 2003 থেকে 2015 সাল পর্যন্ত দীর্ঘ কর্মময় জীবনে তিনি দেশে-বিদেশে অসংখ্য সেমিনার, মিটিং, ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করেছেন। 2007 সাল থেকে তার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ে কলামিস্ট হিসাবে লেখালেখি শুরু করেন। Mechatronics নিয়ে তার একটি নিউজের সাক্ষাৎকার ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম : আপনি অনেক দিন জাবৎ শিক্ষকতা করছেন। আমরা জানি মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং আপনার হাতে শুরু। এই সম্পর্কে আমাদের কিছু বলুন?
ড. মো. শফিকুল ইসলাম : মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং আধুনিক প্রযুক্তির একটি ক্ষেত্র। আমি মনে করি মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে সবচেয়ে যুগোপযোগী, উৎকৃষ্ট ও সবচেয়ে স্মার্ট প্রযুক্তি। এর জ্ঞান ও ব্যবহার ছাড়া শিল্প, কলকারখানাসহ কোনো ইন্ডাস্ট্রি তৈরি সম্ভব না। এটা যদি তরুণ প্রজন্মকে হাতে কলমে শুরু করানো যায় তাহলে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং কয়েকটি বিষয়কে একত্র করে গঠিত। এখানে মেকানিকেল, ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক্স এবং একটি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিষয় জড়িত। এই তিনটি বিষয়ের একত্রে সম্মিলন ঘটলে একটি চমৎকার বিষয় তৈরি হয় যার নাম মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং।
মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং মাধ্যমে এখন থেকেই যদি আমরা এর চর্চা না করি, তাহলে আমরা পিছিয়ে পড়বো। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধি সম্পন্ন বাংলাদেশ গড়তে মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং গুরুত্বপূর্ণ। 2006 সালে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে এই প্রযুক্তি প্রবর্তনের জন্যে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করি। তারা আমার অনুরোধের প্রেক্ষিতে এই প্রোগ্রাম চালু করেছে। আমাদের দেখাদেখি পরবর্তীতে
রুয়েট ও বিভিন্ন পলিটেকনিক ইন্সিটিউটগুলো এই প্রযুক্তি চালু করেছে।
আমরা জানি আপনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে এডভাইজার ও খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকাট্রনিক্সের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কি বলবেন?
ড. মো. শফিকুল ইসলাম : প্রায় অনেকদিন ধরেই আমি এই ইউনিভার্সিটির সঙ্গে জড়িত।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আমি
ভাগ্যবান মনে করি যে তারা এই প্রযুক্তি
নিয়ে পড়ছে। মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং
কে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিতে যত রকমের
ধারণা, তথ্য, উপাত্ত ও সহযোগিতা দরকার তা আমি করব যেন তারা এটির চর্চা করতে পারে ও সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে পারে। একদিন তারা দেশের সম্পদ হয়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস।
বাংলাদেশে Mechatronics প্রথম চালু হয় ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য।2006 সালের 1 আগষ্ট রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ। তখন রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছিলো দেশের 1 নাম্বার পলিটেকনিক। দেশের বাইরে ও তখন রাজশাহী পলিটেকনিক সুনাম অর্জন করে ছিলো।
আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে তৎকালীন সরকার চালু করেলো Mechatronics Technology যারা প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলো তারা অনেক হতাশায় ভুগছে। কিন্তু আজ তারা অনেক ভালো জায়গায় আছে কেউ কম্পানিতে বড় পজিশনে চাকরি করছে। কেউ আবার ঐ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছে। রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর Mechatronics Technology র প্রথম বিভাগীয় প্রধান ছিলেন আব্দুস সালাম চৌধুরী এবং আরেক জন শিক্ষক ছিলেন শহিদুল ইসলাম যাদের কাছে Mechatronics Technology ছাএরা চীর ঋনী হয়ে থাকবে। তাদের জন্য ই আজ Mechatronics এতো দূরে।তারা অনেক চেষ্টা করেছে। শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক এ অনেক গুরুত্ব দিয়েছেন।তার অবদান কখনও Mechatronics এর ছাএরা কখনো ভুলতে পারবে না।2006 এর পরে বে সরকারি World University Bangladesh Mechatronics এর ওপর Bachelor ডিগ্ৰি চালু করে। পরবর্তীতে 2013 সালে RUET Mechatronics Engineering এ BSC চালু করে।2015 তে CUET Mechatronics Depertment চালু করে এবং 2016 সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে Robotics and Mechatronics Engineering Depertment খোলা হয়।তার পর অনেক বে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এই Depertment টি খোলে। পরবর্তীতে মাগুরা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ Mechatronics Depertment খোলা হয় 2015 সালের আগস্ট মাসে। নতুন 23 টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর কাজ চলছে ঐ গুলোর 1 নাম্বার Depertment Mechatronics Technology সামনে এর পরিধি আরও বৃদ্ধি পাবে।