এক নারীকে তুলে নিয়ে সংঘব’দ্ধ ধর্’ষ’ণের অভিযোগে কক্সবাজার শহরের নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ফিরোজ ভুক্তভোগী নারীকে নিজের স্ত্রী বলে দাবি করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, গতকাল সোমবার দুপুরে আদালত এলাকা থেকে ওই নারীকে একদল যুবক তুলে নিয়ে একটি বাসায় নিয়ে ধ’র্ষ’ণ করে। এ ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখ করে নয়জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস।
মামলার এজাহারে তিনি বলেছেন, সোমবার বেলা ২টার দিকে কক্সবাজার শহরের আদালত পাড়ার মসজিদ মার্কেটে তার আইনজীবীর চেম্বারের সামনে থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়। তারপর উত্তর বাহারছড়ায় এক বাড়িতে আটকে রেখে পুলিশ পরিচয়ে সংঘবদ্ধ ধ’র্ষ’ণ করা হয়। সুযোগ পেয়ে তিনি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে ‘ধ’র্ষ’ণকা’রীরা’ পালিয়ে যান। পরে তাকে পুলিশ উদ্ধার করে বলে তিনি এজাহারে উল্লেখ করেন।
ধ’র্ষ’ণে’র এ ঘটনায় ওসি মুনীর-উল-গীয়াস বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে আজ মঙ্গলবার প্রধান আসামি ফিরোজ আহমদ সংবাদ সম্মেলন করে ধ’র্ষ’ণে’র অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ওই নারী আমার দ্বিতীয় স্ত্রী। তার আগের স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটিয়ে তিনি আমাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর আমি প্রথম স্ত্রীর মতো তাঁকেও আলাদা বসতঘর তৈরি করে দিয়ে সংসার করে আসছিলাম। সম্প্রতি পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হলে তাঁর (মামলার বাদী) বাবা-মা সমাধানের চেষ্টা চালান।
ফিরোজ আহমদ জানান, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওই নারীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়। প্রমাণ হিসেবে তিনি একটি কাবিননামা উপস্থাপন করেন।