দুবাইয়ের বিখ্যাত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরভ খান তার মালিকানাধীন ‘আরাভ জুয়েলার্স’ তালা দিয়ে রেখেছেন। তবে তিনি দুবাই পুলিশের নজরদারিতে আছেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা মামলার আসামি আরভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম ইন্টারপোলের রেড নোটিশের খবরে দুবাইয়ে ব্যবসায় গুটিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। মঙ্গলবার তার মালিকানাধীন আরভ জুয়েলার্সে তালা ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এর আগে তার লোকজন দোকান থেকে সব স্বর্ণালঙ্কার সরিয়ে ফেলে।
দুবাইয়ে বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন যে আরভ খানকে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। বর্তমানে তিনি গা ঢেকে রেখেছেন। তবে, পাসপোর্টে মার্কিন ও কানাডার ভিসা থাকায় আরভ যেকোনো সময় দুবাই ছেড়ে যেতে পারেন বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন।
এদিকে একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, তার ভিসা থাকলেও আরভ খান যাতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে নজর রাখছেন তারা। এ ছাড়া তিনি কীভাবে ভারতীয় ভিসা পেলেন তাও খতিয়ে দেখছেন দেশটির গোয়েন্দারা।
সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর বলেন, আরভ খান দুবাই পুলিশের নজরদারিতে রয়েছেন। ইন্টারপোলের কাছ থেকে খবর পেয়ে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
এর আগে, মঙ্গলবার বিকেলে আরাভ খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে গুঞ্জন ছিল। পরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ড. শাহরিয়ার আলম বলেন, আরভকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। কিন্তু সে পালাতে পারে না।
পুলিশ সদর দফতরের মুখপাত্র এআইজি মনজুর রহমান বলেন, আরভ খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে- এমন তথ্য আমাদের কাছে নেই। কিন্তু ইন্টারপোল তার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করেছে, এটা নিশ্চিত।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৯ জুলাই গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার উলুখোলা এলাকার একটি জঙ্গল থেকে পুলিশ পরিদর্শক মামুনের পোড়া লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের আসামি হয়ে দেশ ছেড়েছেন আরভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম। তিনি দেশ ছেড়ে প্রথমে ভারতে যান। কয়েক বছর কলকাতার বস্তিতে থাকার পর তিনি আরভ খানের নামে একটি ভুয়া ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করে দুবাই চলে যান। এখন সে দুবাইয়ের বড় সোনা ব্যবসায়ী।
Pingback: ফরিদপুরে ১৩ লাখ টাকার গাঁ*জাসহ দুই ব্যবসায়ী আ*টক