সময়ের খবর ডেস্কঃ
রাজধানীর মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় নি;হত চার জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (২৮ জুন) বিকেল ৫টায় পরিবারের কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়। এ সময় স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিবেশ।
আজ যাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে তারা হলেন- আবুল কাশেম (৪৫), রুহুল আমিন নোমান (৩০), মোস্তাফিজুর রহমান (২৭) ও স্বপন (৩৫)।
নিহত রুহুল আমিনের দুলাভাই মাহফুজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাজধানীর রহমান রহমান অ্যাসোসিয়েটস নামে একটি কনসালটেন্সি ফার্মে চাকরি করতেন রুহুল। গতকাল (২৭ জুন) অফিসের এক কাজে বাসে করে যাত্রাবাড়ী গিয়েছিলেন তিনি। বাস মগবাজার এলাকায় পৌঁছালে ওই বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই রুহুলের মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, গতকাল থেকে আমরা রুহুলের সন্ধান পাচ্ছিলাম না। আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে আসলে তার পরিচয় আমরা শনাক্ত করি। তিনি শাহজাহানপুর এলাকায় থাকতেন। জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি এলাকায় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।
আরেক নিহত আবুল কাশেমের স্ত্রীর বড় ভাই মিন্টু মোল্লা ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল বিকেলে আমার বোনের সঙ্গে কাশেমের কথা হয়। এরপর থেকে মোবাইল বন্ধ ছিল। টিভিতে খবর দেখে আমরা বিভিন্ন হাসপাতালে খুঁজতে থাকি। কোনোভাবেই তার অবস্থান জানতে পারছিলাম না। পরে সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মরদেহ শনাক্ত করি। আমরা মরদেহটি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার উনকুটে নিয়ে যাচ্ছি। সেখানেই তার দাফন হবে।
নিহত মোস্তাফিজুর রহমানের দুলাভাই সাইফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার শ্যালক কবি নজরুল কলেজে পড়ত। রোববার সে বাসে করে শনির আখড়ার বাসায় ফিরছিল। বাসেই বিস্ফোরণের শিকার হয় সে। আমরা তার মরদেহ ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানার যশোরা এলাকায় নিয়ে যাচ্ছি। সেখানে তাকে দাফন করা হবে।
নিহত স্বপনের বড় ছেলে বিশাল জানায়, আমার বাবা রোববার সন্ধ্যায় বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন। আমরা ঢাকার মগবাজার চেয়ারম্যান গলিতে থাকি। বাবার মরদেহ আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।