ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় স্ত্রীকে কেন্দ্র করে দুই স্বামীর মধ্যে মারামারি হয়েছে। এতে প্রথম স্বামীসহ অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পূর্বমুড়া গ্রামের মালয়েশিয়ান প্রবাসী রমেন বিশ্বাস। প্রবাসে থাকার সুবাদে একই গ্রামের রবিন বিশ্বাসের ছেলে নিতাই বিশ্বাস (৩২) তার স্ত্রীর সাথে বিবাহ বহির্ভূত প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। তিন মাস আগে তারা পালিয়ে বিয়ে করে। অক্টোবরে ২০ দিন পর, তাদের ফিরিয়ে আনা হয় এবং এলাকায় একটি সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই সালিশে রমেন বিশ্বাসের স্ত্রী দ্বিতীয় স্বামী নিতাইয়ের সঙ্গে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। সম্প্রতি রমেন বিশ্বাস দেশে ফিরে স্ত্রীকে বিচ্ছেদ করে বিয়ে করায় দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে বিরোধ শুরু হয়।
সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রমেনের বাবার বাড়ির পাশে তেতুলিয়া মাদ্রাসা মোড়ের দোকানে এলে নিতাই ও তার লোকজন রমেনের বাবা রতন বিশ্বাসের ওপর হামলা চালায়। রতন বিশ্বাসের ছেলে রমেন বিশ্বাস, বিপ্লব বিশ্বাস, পৌর বিশ্বাস এগিয়ে এসে তাদের মারধর করে। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আহত হয়েছেন রতন বিশ্বাস (৬০), রমেন বিশ্বাস (৪৩), বিপ্লব বিশ্বাস (৩৪) ও পৌর বিশ্বাস (৩৩)।
আরও পড়ুনঃ ১৩ লাখ টাকা দিয়েছিলেন বীরের জন্মের সময় শাকিব: বুবলী
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। এদের মধ্যে রমেন বিশ্বাসকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জাফর ফকির সময়ের খবরকে বলেন, তিন মাস আগে নিতাই বিশ্বাস তার প্রতিবেশী রমেন বিশ্বাসের স্ত্রীকে নিয়ে চলে যান। এ নিয়ে সালিশ বৈঠক হয়েছে। স্ত্রী কেড়ে নেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়।
রূপপাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান সময়ের খবরকে বলেন, সালিশ বৈঠকে স্ত্রী বিচ্ছেদকে কেন্দ্র করে। আজ সকালে আবার ঝগড়া হয়েছে জানতে পারলাম।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম সময়ের খবরকে বলেন, মারামারির কারণে চারজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।