ফরিদপুরে সন্তানসহ প্রেমিকাকে তুলে নিলেন যুবক

ফরিদপুরের সালথায় স্বামীকে মারধর ও স্ত্রী ইমা বেগম (১৮) ও সাত মাসের মেয়ে রাইসা মনিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক প্রেমিকের বিরুদ্ধে।  এসময় ইমা বেগম ও তার স্বামী বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিলেন বলে জানা যায়।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত প্রেমিকের নাম তরিকুল মোল্যা।  তিনি আলমপুর গ্রামের বাসিন্দা কালু মোলার ছেলে।
এ ঘটনায় ইমার স্বামী হাবিব শেখ বাদী হয়ে সালথা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় হাবিব শেখ তার স্ত্রী ইমা বেগম ও শিশু রাইসা মনিকে নিয়ে ভাঙ্গার হিরালদী গ্রামের বাড়ি থেকে সালথার আলমপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন।
পরদিন শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে একটি অটোভ্যানে বাড়ি ফেরার পথে আলমপুর গ্রামের শেষ সীমানায় পৌঁছালে আসামি তরিকুল মোল্যাসহ ৮-১০ জন লোক আসে।  তাদের অটোভ্যান থামিয়ে দিল।  এ সময় আসামিরা হাবিব শেখকে মারধর করে তার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে অন্য একটি অটোরিকশায় করে পালিয়ে যায়।

ইমা বেগমের বাবা মো.  লিটন খা বলেন, আমার মেয়ে ইমা বেগমের বিয়ে হয়েছে দেড় বছর আগে।  তার সাত মাস বয়সী একটি মেয়েও রয়েছে।  শুক্রবার সকালে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার সময় তরিকুল ইচ্ছাকৃতভাবে আমার মেয়ে ও নাতনিকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায়। কেড়ে নেওয়া হয়েছে নগদ টাকা ও স্বর্ণের সামগ্রীও।  তারা আমার মেয়ে জামাইকে মারধরও করে।  এখন পর্যন্ত আমি আমার মেয়ে ও নাতনির কোনো তথ্য পাইনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তরিকুলের সঙ্গে আমার মেয়ে ইমা বেগমের বিয়ের আগে কোনো সম্পর্ক ছিল না।  তবে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, বিয়ের আগে ইমার সঙ্গে তরিকুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

অভিযুক্ত তরিকুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।  তরিকুলের ভাবি ও তার পরিবারের অভিযোগ, ইমা বেগম ও তার মেয়েকে তরিকুল তুলে নেয়নি।  তরিকুল অবিবাহিত ছেলে।  কেন তিনি সন্তানের মা কেড়ে নেবেন?  তরিকুলের সঙ্গে ইমার দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।  সেই সম্পর্কের জেরে দুজনেই পালিয়ে গেছে।

সালথা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.  আওলাদ হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।  অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে।  প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *